ঢাকা | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জন্য দেশের জার্সি তুলে রাখলেন ডি কক

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:২৯

ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন কুইন্টন ডি কক। গেটি ইমেজ ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন কুইন্টন ডি কক। গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণার পরপরই ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানান দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ওপেনার কুইন্টন ডি কক। আসন্ন ভারত বিশ্বকাপ দিয়েই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান এই প্রোটিয়া ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত রোববার খেলে ফেলেছেন দেশের মাটিতে নিজের সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচটাও।

ডি ককের ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানো নিয়ে সরগরম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটমহল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতেই যে দেশের জার্সি তুলে রাখছেন ডি কক, সেটাও অনেকটা ওপেন সিক্রেট। আলোচনা-সমালোচনা মূলত তাই ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ঘিরেই। কুইন্টন ডি কক নিজেও এই বিষয়টি অস্বীকার করেননি। স্পষ্টই এই ওপেনার জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সব ক্রিকেটারই চায় যত বেশি সম্ভব অর্থ উপর্জন করে নেওয়ার। 

টি-২০ লিগের অর্থের ঝনঝনানিই কি দেশের জার্সি তুলে রাখার অন্যতম কারণ? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রোটিয়া ওপেনার বলেছেন, ‘আমি মোটেও বলব না যে, এটা আমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেনি। এটা যথার্থই আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। আমি ১০-১১ বছর ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছি এবং জাতীয় দলের প্রতি নিজের আনুগত্য দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় যে, নিজের কর্তব্য আমি যথাযথ পালন করেছি।’

অস্বীকার করব না যে, টি-২০ লিগগুলিতে প্রচুর অর্থের হাতছানি রয়েছে। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সবাই চাইবে যতটা বেশি সম্ভব আয় করে নেওয়ার। যে কোনও সাধারণ মানুষ এমনটা করবে। যদি আমি (দেশের প্রতি) অনুগত না হতাম, তাহলে ৫ বছর আগেই অবসর নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়াতে পারতাম। এখন আমার বয়স হচ্ছে। আমার ক্যারিয়ার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। এটাই সময় শেষ বেলায় কিছু অর্থ সঞ্চয় করে নেওয়ার।’ যোগ করে বলেছেন কক।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান কুইন্টন ডি কক। এরপর থেকেই নিয়মিত ছিলেন সাদা বলের ক্রিকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে প্রায় এক যুগ ধরে সার্ভিস দেওয়া এই ওপেনার এবার তুলে রাখতে চায় রঙিন জার্সিটাও।

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷