ঢাকা | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টস হারলেই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩ ০৭:৫১

ছবি সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওনঃ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ইতোমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। ঘুরতে আসা দলের কাছে ঘরের মাঠে ৭ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। হোয়াইট ওয়াশ হলে ৯ বছরের অপ্রতিরোধ্য রেকর্ডেরও ঘটবে ইতি। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে এই সংস্করণে কখনোই সিরিজের সব ম্যাচে হারেনি টিম টাইগার্স। এমন শঙ্কা নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে শক্তির জায়গা হতে পারে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। এই ভেন্যু রেকর্ডবুক সাফাই গাইছে তামিম-সাকিবদের পক্ষেই।

তৃতীয় ম্যাচের আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের একাল-সেকাল দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

 

বিসিবির এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪টি ম্যাচ। ২০০৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-শ্রীলংকা মধ্যকার ম্যাচ শুরু হওয়া যাত্রা চলমান রয়েছে এখনও।

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর সবশেষ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মাঝের এই সময়ে খেলা ২৪ ম্যাচে স্বাগতিকরা জয় পেয়েছে ১৫ ম্যাচে। যা মোট ম্যাচের ৬২.৫০ শতাংশ। সফরকারী দল জয় পেয়েছে ৯ ম্যাচে।

বন্দর নগরীর এই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে ৯ বার (৩৪.৬২ শতাংশ)। অপরদিকে লক্ষ্য পূরণে পরে ব্যাট করা দল সফল হয়েছে ১৫ বার (৫৭.৫৯ শতাংশ)। এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট পরে ব্যাট করলেই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেশি।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হারলেই আবার ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। পাঠকদের সাথে কোনো প্রকার মজা নয়। স্টেডিয়ামের বায়োডাটা অন্তত তাই বলছে। এখন পর্যন্ত টস জয়ী দল যেখানে ম্যাচ জিতেছে ৪২.৩১ শতাংশ অর্থাৎ ১১ ম্যাচ। সেখানে টসে পরাজিত দল ম্যাচ জিতেছে ১৩ বার। যা মোট ম্যাচের ৫০ শতাংশ।

চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত বাতিল হয়েছে দুইটি ম্যাচ। প্রথমটি ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে এবং শেষটি ২০১০ সালে ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দুই ম্যাচেই কোন বল মাঠে গড়ায়নি।

চট্টগ্রামের এই মাঠে ব্যক্তিগত সংগ্রহে নিজের নাম লিখে রেখেছেন ভারতের ঈশান কিষান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রানের ইনিংস ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। বল হাতে অবশ্য দাপট বাংলাদেশি একজনের। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যা এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং ফিগার। অর্থাৎ এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট পায়নি কোন বোলার। সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ দুইবার পেয়েছেন ৪ উইকেট। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছেন সাকিব। সংখ্যাটি ২০।

ভারতের ৪১০ রানের ইনিংসটি এই মাঠে সর্বোচ্চ দলীয়। অপরদিকে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের ৪৪ রান দলীয় সর্বনিম্ন। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮৮ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় যা এখন পর্যন্ত সবার উপরে। এই মাঠে প্রথমে ব্যাট করে গড়ে রান ২০৭।

 

চট্টগ্রামে বাংলাদেশের হয়ে ৫৯২ রান নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় অবস্থানে ৫০৭ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম।

 

-নট আউট/এমআরএস

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...