সৌম্যর ক্যারিয়ারের বারোটা বাজাচ্ছে কে?
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৫
মশিউর রহমান শাওন : সৌম্য সরকার! এই নাম শুনলে আপনার চোখে কোন দৃশ্যপট ভাসে? নিশ্চিতভাবে একাংশের কাছে ব্যাট হাতে সৌম্যর আগ্রাসন। জাতীয় দলে অভিষেকের পর তিনি ব্যাট হাতে ছিলেন উজ্জ্বল। ইনিংস শুরু করতে নেমে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছেন দাপটের সাথে। আস্থা কুড়িয়েছেন পুরো দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের।
২০১৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর ওয়ানডতে অভিষেক হয়েছিল সৌম্য সরকারের। ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে শতক পেয়েছিলেন দশম ম্যাচে। লম্বা একটা সময় রান তুলেছেন ১০০ এর উপর স্ট্রাইকরেটে। এমন একজন ব্যাটারকে হুট করে অলরাউন্ডার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ম্যানেজম্যান্ট। আর এতেই ক্যারিয়ারে বারোটা বেজেছে এই বাঁহাতি ওপেনারের। বর্তমানে তিনি পরিণত হয়েছে গিনিপিকে।
নিউজিল্যান্ড সফরে সৌম্যকে বিবেচনা করা হচ্ছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। অধিনায়কের কথাতে তা স্পষ্ট। প্রথম ওয়ানডেতে ৬ ওভারে দিয়েছেন ৬৩ রান। নিতে পারেননি কোন উইকেট। বোলিংয়ে প্রত্যাশা মেটাতে না পারার যে চাপ তা পড়েছে ব্যাটিংয়ে। ব্যাট হাতে ফিরেছেন শূন্য রানে। সৌম্যর মত এমন বাজে রেকর্ড গড়েনি আর কোন বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট তথা বিশ্বক্রিকেটে সৌম্য সরকার হতে পারতেন একজন হিটম্যান ব্যাটার। বোলারদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার কাজটি করতে পারতেন লাল-সবুজ জার্সি গায়ে। তবে এখন জাতীয় দলে সুযোগ পান শুধুই কোচের পছন্দে, আর ঘরোয়া টুর্নামেন্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে।
সৌম্য সরকারের শক্তির জায়গা আগ্রাসী ব্যাটিং। বোলিং সহায়ক হতে পারতো। তবে কেন তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলানো হচ্ছে। কেনই বা সৌম্যকে দুনিয়া সেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার হতে হবে। যখন আপনার দলে ওপেনিং পেয়ারে চলছে নানামুখী ব্যর্থতা।
ক্রিকেটারদের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার কাজটিই করার দায়িত্ব ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। তবে উলটো প্রসেস এদেশের ক্রিকেটে। যেখানে সম্ভাবনাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য বাড়তি চাহিদাই যথেষ্ট। এমন অনেক উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে বদ্বীপ জুড়ে। কখনও বিশেষজ্ঞ ব্যাটারকে লেগস্পিনার বানানো আবার কখনও ব্যাটারকে পেস বোলিং অলরাউন্ডার তৈরির বিলাসিতা চেষ্টা। দলের সেরা টেস্ট ব্যাটারকে তুলে দেওয়া হচ্ছে পারফরম্যান্সে ব্যর্থ টিমের দায়িত্ব। অতঃপর খেল হারাচ্ছেন তিনিও ব্যক্তিগত অর্জনে।
হ্যাঁ নিশ্চিতভাবেই এমন চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি পরিবর্তনে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই যেমন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ ছিলেন লেগ স্পিনার, রোহিত শর্মাও বোলার থেকে বর্তমান হিটম্যান। এমন অনেক উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তবে পরিবর্তিত রূপে যদি সফল না হয় সেই ক্রিকেটার, তবুও কেন ব্যর্থ চেষ্টা করবেন।
সৌম্য সরকার বল হাতে কত ম্যাচেই বা সফল। অথবা তিনি কবে ছিলেন পূর্ণ অলরাউন্ডার। সৌম্যের ওপর দলের প্রত্যাশা এতই বেশি যে, সাকিবের অভাব পূরণ করবেন তিনি। এমন স্বপ্ন দেখছেন খোদ অধিনায়ক। সৌম্যর মূল কাজ বোলিংয়ে নয়। এই বাস্তবতা কেন ভুলে যাচ্ছে ম্যানেজম্যান্ট। আর কেনই বা তার ক্যারিয়ারের বারোটা বাজাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মানুষজন। প্রশ্ন আছে সবখানে, নেই উত্তর কিংবা সমাধান!
-নট আউট/এমআরএস
তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....
বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...
৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!
শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।
এবার মাদিবার রাষ্ট্রে হোক সাম্রাজ্য উদ্ধার
২০২০ সালের পরের ব্যাচ ট্রফি ধরে রাখার কাজটি করতে পারেনি। তবে এবার সাম্রাজ্য উদ্ধারের...
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: