ঢাকা | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেতা রোহিতের জন্য জীবন দিতে রাজি অশ্বিন

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৮

অশ্বিন ও রোহিত শর্মা। গেটি ইমেজ অশ্বিন ও রোহিত শর্মা। গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ ছিল ভারতীয় তারকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্যারিয়ারের একশতম টেস্ট। নিজের শততম টেস্টে বল হাতে দ্যুতিও ছড়ান এই স্পিনার। ইংলিশদের বিপক্ষে রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট চলাকালীন অশ্বিনের জীবনে ঘটে যায় এক দুর্বিষহ ঘটনা। রাজকোটে পারিবারিক কারণে ম্যাচ চলাকালীন দল ছেড়েও চলে যেতে হয়েছে তাকে। অবশ্য সেই টেস্টেই ফের দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

কঠিন সেই সময়টাতে অশ্বিন পাশে পেয়েছেন পুরো টিম ইন্ডিয়াকে। বিশেষ করে অধিনায়ক রোহিত শর্মা পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ান অশ্বিনের৷ তার জন্য এবার নেতা রোহিতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। অশ্বিনের মতে, রোহিত অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। 

রাজকোট টেস্টটা বিভিন্ন কারণেই অবশ্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে অশ্বিনের জন্য। ওই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জ্যাক ক্রোলিকে ফিরিয়ে ক্রিকেটের বনেদী এই ফরম্যাটে অশ্বিন ছুঁয়েছিলেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। তবে, সেদিন রাতেই পারিবারিক কারণে দল ছেড়ে চলে যান অশ্বিন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেটি নিশ্চিত করে বিসিসিআই। 

এবার ওই ঘটনার বিস্তারিত অশ্বিন নিজেই জানিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে। পুরো ঘটনার বর্ননা দিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘সবেমাত্র আমার ৫০০তম উইকেট পেয়েছি, তাই আমার স্ত্রী বা বাবার কাছ থেকে ফোন আশা করছিলাম। তা না পেয়ে কিছুটা অবাক হই। যেহেতু তখন প্রায় সন্ধ্যা ৭টা। পরে আবার ভাবলাম, তারা হয়তো সাক্ষাৎকার নিয়ে এবং অভিনন্দন বার্তার জবাব দিতে ব্যস্ত, তাই এ নিয়ে খুব একটা ভাবিনি তখন।’

আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার পর অবশেষে আমি ফোনে আমার স্ত্রীকে পেলাম। তার কণ্ঠস্বর অন্যরকম ছিল। আমি তাকে বললাম, গোছল করতে যাচ্ছি, সে আমাকে সতীর্থদের থেকে দূরে কোথাও একা যেতে বলল। সে বলল, আমার মা প্রচণ্ড মাথাব্যথার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।’ যোগ করে বলেছেন তিনি।

এমন কিছু শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না অশ্বিন। তাই তাৎক্ষণিক তার কি করা উচিত সেটাও তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কঠিন সেই সিচুয়েশনের বর্ননা ঠিক এভাবেই দিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘নিজেকে যেন শূন্য মনে হচ্ছিল, আমি কী করেছি মনে নেই, কিন্তু আমি কাঁদছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না, তাকে (স্ত্রী) কী জিজ্ঞাসা করব। আমি চাইনি, কেউ আমাকে কাঁদতে দেখুক। আমি আমার ঘরে একা বসে ছিলাম, কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’

একদিকে, আমি জানতাম, আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে, কিন্তু এটাও ভাবছিলাম, কীভাবে আমার সতীর্থদের ফেলে চলে যাব…কোচ, অধিনায়ককে কী বলব, বুঝতে পারছিলাম না। আমি একাদশের একজন, যদি বাড়ি চলে যাই তাহলে আমাদের মাত্র ১০ জন খেলোয়াড় থাকবে, যা ইংল্যান্ডকে বাড়তি সুবিধা দেবে।’ যোগ করে বলেছেন অশ্বিন।

কঠিন সেই সময় অধিনায়ক রোহিত শর্মার পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন অশ্বিন। এমনকি রোহিত তাকে দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতেও বলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাই রোহিতের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই অশ্বিনের। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘রোহিত স্পেশাল একজন মানুষ, অসাধারণ নেতা, বড় হৃদয়ের অধিকারী। আমি নিজেই এর সাক্ষী। মাঠে তার জন্য আমি আমার জীবন দিয়ে দেব, সে এমনই একজন অধিনায়ক। এই গুণগুলোর কারণেই সে পাঁচটি আইপিএলসহ অনেক শিরোপা জিতেছি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, রোহিত তার ক্যারিয়ার এবং জীবনে আরও বেশি অর্জন করুক।’

 

-নট আউট/টিএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷