ঢাকা | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বিখ্যাত আম্পায়ার কোয়ের্তজেন

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২ ০৪:০৭

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার রুডি কোয়ের্তজেন। ফাইল ছবি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার রুডি কোয়ের্তজেন। ফাইল ছবি

নট আউট ডেস্কঃ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেন। ছুটি কাটিয়ে নিজ শহর কেপটাউনে ফেরার পথে, মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। মৃত্যুকালে কিংবদন্তি রুডি কোয়ের্তজেনের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ওই দুর্ঘটনায় কোয়ের্তজেন ছাড়াও তার আরও তিন বন্ধুর হয়েছে মৃত্যু। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি করেছে নিশ্চিত। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবী, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার রিভার্সডেলে নামক একটি এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা যায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন কোয়ের্তজেন। তৎক্ষনাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রুডি কোয়ের্তজেনের বিদায়ে ক্রিকেটবিশ্বে চলছে শোকের মাতম।

এদিকে স্থানীয় একটি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুডি কোয়ের্তজেনের ছেলে জানিয়েছেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে গলফ খেলতে গিয়েছিল বাবা। সোমবারের মধ্যে ওদের বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু ওরা বোধ হয় অন্য কোথাও গলফ খেলতে চলে গেল।’

রুডি কোয়ের্তজেন দীর্ঘ দুই দশক ধরে পরিচালনা করেছেন আম্পায়ারর দায়িত্ব। ছিলেন ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বেও৷ ১৯৯২ সালে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হওয়া, কোয়ের্তজেন একটানা ২০১০ পর্যন্ত করেছেন আম্পায়ারিং। এই সময়ে মোট ১০৮টি টেস্টে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি৷ 

এছাড়া ২০৯টি ওয়ানডে ম্যাচেও ছিলেন আম্পায়ারের দায়িত্বে। পাশাপাশি ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও ছিল কোয়ের্তজেনের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার রেকর্ডটি এখনও রেখেছেন নিজের দখলে।

আম্পায়ারিং জীবনে ২০০২ সালে একবার শীর্ষ আম্পায়ার ও নির্বাচিত হয়েছিলেন সবার পরিচিত এই মুখ। এছাড়া ২০০৫ ও ২০০৬ সালে আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। 

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷