ঢাকা | শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেটাররা’

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩ ২০:৪৫

মোহাম্মদ হাফিজ। ফাইল ছবি মোহাম্মদ হাফিজ। ফাইল ছবি

নট আউট ডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেট সবচেয়ে বড় যে সাফল্যটি এসেছে, সেটি ছিল নব্বইয়ের দশকে। ওই দশকেই (১৯৯২) নিজেদের একমাত্র ও প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে তারা। এর পাশাপাশি ওই দশকে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, সাঈদ আনোয়ার, ইমরান খান থেকে শুরু করে জাভেদ মিয়াদাঁদ, জহির আব্বাসদের মতো লিজেন্ডারি ক্রিকেটাররা পাকিস্তান দলকে করেছিল সমৃদ্ধ। 

এক কথায় বলতে গেলে পাকিস্তান ক্রিকেটকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায় নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেটাররা। কিন্তু পূর্বসূরিদের অবদান যেন বেমালুম ভুলেই গেলেন একবিংশ শতাব্দীর পাক তারকা মোহাম্মদ হাফিজ। এই তারকা অলরাউন্ডারের মতে, পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে নব্বইয়ের দশকের ক্রিকেটাররাই। 

হাফিজের দাবি নব্বইয়ের দশকের তারকারা ম্যাচ পাতানো থেকে শুরু করে ষড়যন্ত্রসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন, যা ক্ষতি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের। সম্প্রতি এক পডকাস্টে স্পট ফিক্সিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাফিজ বলেছেন, ‘২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সেটিই তো প্রথম ঘটনা নয়। এর শিকড়টা অনেক পুরোনো। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা আগের ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দিইনি। পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল কিংবা জনগণ এসব ভুলে গেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যদি কোনো খারাপ জিনিসকে আপনি দ্বিতীয়বার সুযোগ দেন, সেটি পরে আরও ভয়ংকর হয়ে ফেরে। আরও বেশি ক্ষতি করে।’

২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা। ওই ঘটনার জের ধরে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন জনই। পরবর্তী মোহাম্মদ আমির পাকিস্তান দলে ফিরলেও, বাকি দু'জন আর কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। 

হাফিজের ভাষ্যমতে, দুর্নীতির বিজ বপন করেছিলেন নব্বইয়ের দশকের তারকা ক্রিকেটাররা। তিনি আরও বলেছেন, ‘২০১০ সালের ঘটনার অনেক আগেই নব্বইয়ের দশকে অনেক তারকা ক্রিকেটার অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। এদের অনেককেই পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি বলা হয়। তারা আসলেই কিংবদন্তি। আমি তাদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি, তাদের সে সময়ের খেলার কারণে। কিন্তু এরাই ওই সময় অনেক অবৈধ কাজ করেছেন।’

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷