ঢাকা | রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

৯ ম্যাচে রান ২২৬, রানশূন্য ৬৩.০৮ শতাংশ বল!

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩ ১৮:০৩

ছবি সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওনঃ চলতি বছরের মে পর্যন্ত তামিমের ওয়ানডে ম্যাচ সংখ্যা ৯। গড়ে ৮০.৯১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা এই ওপেনারের রান ২২৬। অর্থাৎ ইনিংস প্রতি করেছেন ২৫.১১ রান। এই রান এসেছে ১১০ বল থেকে। যদিও এমন কিছুতে নেই স্বস্তি। কেননা বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেছেন মোট ২৯৮ বল। অর্থাৎ তামিম রান করেছেন ৩৬.৯১ শতাংশ বল থেকে। বিপরীতে ৬৩.০৮ শতাংশ বা ১৮৮ বল ছিলেন রানশূন্য। বিশ্বকাপের বছরে নেতার এই পারফরম্যান্স নিশ্চয় বাড়াচ্ছে কালো মেঘ।


তামিম এই নয় ইনিংসে এক রানের জন্য প্রান্ত বদল করেছেন ৬১ বার। মোট রানের ২৬.৯৯ শতাংশ পেয়েছেন এখান থেকেই। মিরপুর থেকে চেমসফোর্ড, মাঝে চট্টগ্রাম ঘুরে সিলেট। ডাবল থেকে তামিমের খাতায় যোগ হয়েছে ১৪.৫০ শতাংশ রান। অর্থাৎ দুই রান নিয়েছেন ১৬ বার। তামিম ৩ রান নিতে সফল হয়েছেন মোট ৪ বার। যা মোট রানের ৫.৩০ শতাংশ।


অধিনায়ক ২২৬ রানের প্রায় ৫২ শতাংশ রান পেয়েছেন বাউন্ডারি থেকেই। ২৬ বাউন্ডারিতে ৪৬.০১ শতাংশ আর দুই ওভার বাউন্ডারি থেকে এসেছে ৫.৩০ শতাংশ রান।


এই হিসাবে আপনি মেলাতে পারছেন না পাঁচ রানের সমীকরণ। মূলত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম এক রান পূরণ করার পর ফিল্ডারদের ভুলে পেয়েছিলেন বাড়তি আরও চার রান। যার কারণে এই পাঁচ রান রাখা হয়েছে আলাদা করেই।


তামিমের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বাড়বে শুধুই অস্বস্তি। বাংলাদেশ জার্সিতে ১৫ হাজার রান করা এই ব্যাটার অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। তবে এত অভিজ্ঞতা নিয়েও তামিম প্রভাব ফেলতে পারছেন না প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। একটু পেছনে ফিরে এবার লক্ষ্য করা যাক ২০১৯ বিশ্বকাপে তামিমের পারফরম্যান্স।
২০১৯ বিশ্বকাপে তামিম ম্যাচ খেলেছেন ৮টি। প্রতিপক্ষের ৩২৮ বল সামলিয়ে করেছেন ২৩৫ রান। কাকতালীয় বলতে পারেন এখানেও ডট সংখ্যা ১৮৮। শতকরার হিসেবে যা ৫৭.৩১ শতাংশ। এখানে অবশ্য রান পেয়েছেন ৪২.৬৮ শতাংশ বা ১৪০ বল থেকে।


তামিম বিশ্বকাপে সিংগেল খেলেছেন ৯৮টি। যা মোট রানের ৪১.৭০ শতাংশ। ডাবল খেলেছেন ১৪টা। এখান থেকে করেছেন ১১.৯১ শতাংশ রান। তামিম বিশ্বকাপে তিন রানের জন্য প্রান্ত বদল করেছেন ৩ বার। এখান থেকে পেয়েছেন ৩.৮২ শতাংশ রান।


‘১৯’ বিশ্বকাপে এই ওপেনারর চার সংখ্যা চার মেরেছেন ২৫টি। বাউন্ডারি থেকে তামিমের সংগ্রহ ৪২.৫৫ শতাংশ রান। বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে তামিম মারতে পারেননি কোন ওভার বাউন্ডারি। আসর শেষে তামিমের রানের গড় ২৯.৩৭, আর স্ট্রাইকরেট ৬৬.৮৯।


ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জার্সিতে খেলেছে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা ৫৫। ১৫ কিংবা তার বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৮ জন। এই ৮ জনের তালিকায় স্ট্রাইকরেট বিচারে তামিমের অবস্থান নাম্বার ছয়ে। তামিমের নিচে মোহাম্মদ রফিক আর আব্দুর রাজ্জাক।


২০০৭ বিশ্বকাপে শুরু। এরপর আরও তিনটি বিশ্বকাপ। সবমিলিয়ে তামিমের বিশ্বকাপ ম্যাচ সংখ্যা ২৯। ২৪.৭৫ গড় আর ৭৩.১১ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৭১৮ রান। খালি চোখে দেশ সেরা ওপেনারের নামের পাশে এমন সংখ্যা বড্ড বেমানান।


ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে তামিম কাবু করেছিল ভারতীয় বোলারদের। জহির খানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকানো সেই ছয়, নিশ্চয়ই ডিজিটাল যুগেও অসংখ্যবার দেখেছেন আপনি। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে কথার জবাব শতক দিয়েই দিয়েছিলেন তামিম। এই তামিমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতো মানুষ, একাংশ ধরে নিয়েছিল ঘরের সন্তান হবে বিশ্বসেরা। তবে শেষ পর্যন্ত তামিম দেশসেরায় সীমাবদ্ধ। তবে দেশসেরার এমন পারফরম্যান্স নিয়মিত হতাশা বাড়াচ্ছে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখা মানুষদের।

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...