ঢাকা | শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাদিবার রাষ্ট্রে জয়ের মহাকাব্য

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২ ০৫:২৩

টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দিনে জয় লড়াইয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। ছবি: বিসিবি টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দিনে জয় লড়াইয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। ছবি: বিসিবি

মশিউর রহমান শাওন: বাংলাদেশ ক্রিকেটে বর্তমান সময়ে তরুণদের অবদান চোখে পরার মত। দলের খারাপ সময়ে ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব নিয়ে দলকে একদিকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অপরদিকে সমৃদ্ধ করছে নিজের ক্যারিয়ার। ফলে হারার আগে হারতে নারাজ পুরো দল। গল্পটা ২০২০ সালের । প্রথমবারের মত যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। প্রতিপক্ষ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে শতক হাকিয়ে দলকে ফাইনালে ওঠাতে অনবদ্য ভূমিকা ছিল তরুণ জয়ের। এরপর আসেন ক্রিকেটপাড়ার আলোচনায়। সুযোগ মিলে স্বপ্নের জাতীয় দলে। জয়ের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প জানা যাক ছোট করে। 

জয়ের বাবা ছিলেন একজন ব্যাংকার। তাই স্বাভাবিকভাবে কিংবা বড় কোন স্বপ্ন নিয়ে হয়তো বাবা স্বপ্ন বুনিয়েছিল পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় এই সন্তান পড়ালেখা শেষে তার পেশাই বেছে নেবে। তবে বাবা আবুল বারেকের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ জয় এখন স্বপ্ন পূরণ করছে ‍পুরো দেশের। কুমিল্লার বুড়িচংয়ে দাদার বাসা হলেও জয় বাবার চাকুরীজনীত কারনে বেড়ে উঠেছিল চাঁদপুরে। 

ছোটবেলায় হতাশ হয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরা ছিল জয়ের নিত্যদিনের অভ্যাস। হতাশ হওয়ার যথার্থ কারনও ছিল। টেপ টেনিসে খেললেও এলাকার বড় ভাইদের জন্য ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেতনা। শুধুমাত্র ফিল্ডিং করেই সময় কেটে যেত। তখনই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল একদিন বড়মাপের ব্যাটার হবে। আজ আফ্রিকার ডারবানে জাতীয় দলের হয়ে রীতিমত প্রমাণ করলেন জয়। সেদিন যদি নিজের প্রতিজ্ঞা ক্ষোভ করে বড় ভাইদের বলতেন তাহলে হয়তো আজকে তারা আনন্দের সাথে কিছুটা লজ্জাও পেতেন। 

জয়ের ক্রিকেটীয় জীবনে সবচেয়ে মজার ঘটনা হয়তো এটিই হবে। জয়ের আঙ্কেল রাঙ্গামাটিতে বিজিবির চাকুরী করতেন। সে সময় ব্যাংকার বাবা সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে যান সেই স্থানে। ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিচার দিলে রায় হিসেবে বিকেএসপিতে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

জয়ের ক্রিকেটের হাতেখড়ি চাঁদপুর ক্লেমন একাডেমিতে। কোচ শামীমের অধীনে দুই বছর অনুশীলন করেন এই ব্যাটার। যেটি ছিল ক্রিকেট বলে জয়ের প্রথম যাত্রা।২০১৩ সালে চাঁদপুরের ক্লেমন ক্রিকেট ভর্তি হওয়া সেই ছোট্ট জয় আজকে মাদিবার রাষ্ট্রে মহাকাব্য রচনার মালিক ।

 

-নট আউট 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...