ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাদা পোষাকে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২২ ২০:০৬

এবাদতের টেস্টে ৫ উইকেট। ফাইল ছবি এবাদতের টেস্টে ৫ উইকেট। ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ তিন সংস্করণের সংমিশ্রণে পূর্ণতা পেয়েছে রাজার খেলা ক্রিকেট৷ ওডিয়াই, টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট এই তিনের মধ্যে টেস্ট ম্যাচকে বলা হয় আল্টিমেট ফরম্যাট, সোজা বাংলায় আভিজাত্যের ফরম্যাট৷ এক ম্যাচে দিন পাঁচেকের লড়াইয়ে উত্থান পতনের গল্পের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় ইতিহাস থেকে মহাকাব্য ৷ 

লাল সবুজের বাংলাদেশ ২০০০ সালে নাইমুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু করে এই ফরম্যাটে পথচলা৷ দুই দশকেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে জয় পরাজয়ের মিশ্রণে৷ জয়ের তুলনায় পরাজয়ের পাল্লা ভারি হলেও শেষ কয়েকবছর যতটা মুগ্ধকর ক্রিকেট খেলছে দলটি তাতে অসন্তুষ্ঠ হওয়ার কিছু নেই৷ 

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অভিষেক টেস্টে ১৪৫ রান করেন তিনি। কিন্তু দেশের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন আহসান জহির। সময়টা ২০০০ সাল। এছাড়াও অভিষেক টেস্ট কাপ্তান নাইমুর রহমান প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি টেস্ট ম্যাচে ১০০ উইকেট লাভ করেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ৩৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে ৭ বার নিয়েছিলেন ৫ উইকেট৷ 

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে অনন্য এক রেকর্ড রয়েছে সোহাগ গাজীর৷ ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্ট ম্যাচে প্রথমে সেঞ্চুরি এবং পরে বল হাতে হ্যাট্রিক করে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন বাংলাদেশের এই অফ স্পিনার ।

বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসানের পর একমাত্র তিনিই কোন একটি টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং পাঁচের বেশি উইকেট নিয়েছেন।

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে আবুল হোসেন রাজুর নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ৷ ২০১২ সালে খুলনায় ১০ নম্বরে খেলতে নেমে কোন পেস বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে শতক করেছেন তিনি৷ হারতে যাওয়া ম্যাচের রক্ষক হয়ে ওঠেন রাজু৷ 

এছাড়াও তাইজুল ইসালম, মেহেদি হাসান মিরাজ আটবার, এনামুল হক জুনিয়র তিনবার এবং রবিউল ইসলাম ও সোহাগ গাজী দুবার করে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন৷ 

টেস্ট ফরম্যাটে ৭৮ ম্যাচে ২৪ অর্ধ শতক ও ৭ সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের৷ ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এই ব্যাটারের৷ গ্লাভস হাতে ১০৭ ক্যাচের পাশাপাশি ১৫টি ডিসমিসাল করেছেন মুশি ৷ সাদা পোষাকে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি কাপ্তান মমিনুলের৷ ১১ শতক নিয়ে বর্তমান আবস্থান সবার উপরেই৷

উত্থান-পতনের এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মত দলকে৷ পরের ডেরাতে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডকে৷ চলমান বছরের শুরুতে কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে জয় বাংলাদেশকে জুগিয়েছে আত্মবিশ্বাস৷ সেই আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে রঙ্গিন পোষাকে আফ্রিকা বধ করে বিজয়ের উল্লাস করছে টাইগার বাহিনী৷

 চলতি মাসের শেষ দিনে আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল ৷ তাসকিন-শরিফুলের পাশাশাশি ইবাদত পরের মাটিতে আরেকটি টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে পুরো দেশকে৷ বিদেশের মাটিতে পেসাররা মলিন ছিল মাস কয়েক পূর্বেও তবে কিউইদের মাটিতে ইতিহাস রচনার পর নিজেদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আত্মবিশ্বাস৷ 

বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে টেস্ট পোষাকে ৫৯ ম্যাচে ২১০ উইকেট ও ১৮ বার ৫ উইকেট এবং ২ বার ১০ উইকেট নিয়ে সবার উপরে সাকিব আল হাসান৷ এটি যেমন সাকিব ভক্ত তথা দেশের জন্য ভালো৷ তবে দুঃখের বিষয় পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট মাশরাফি বিন মর্তুজার৷ দেশের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০০৯ সালে৷ এর পর প্রায় এক যুগ কেটে গলেও অন্য কোন পেসার মাশরাফির ৭৮ উইকেটকে টপকাতে পারেননি এখনো অন্য কোন দেশীয় ফাস্ট বোলার৷ টেস্টে ম্যাচ জয়ে পিছিয়ে থাকার কারন এই একটি জায়গাতেই ৷ তবে দলে থাকা পেসাররা যেভাবে চেষ্ঠা চালাচ্ছেন তাতে খুব বেশি সময় লাগবে না নতুন রেকর্ড তৈরী করতে৷

 

-নট আউট/এমআরএস/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...