ঢাকা | সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘যদি চোট না পড়তাম, আমরা বিশ্বকাপ জিততেও পারতাম’

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩ ০৪:৫৯

শাহিন আফ্রিদি। ফাইল ছবি শাহিন আফ্রিদি। ফাইল ছবি

নট আউট ডেস্কঃ মাঠের ক্রিকেটে সময়টা ভালোই যাচ্ছিল পাক তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদির। তবে টানা খেলার ধকল সামলাতে না পেরে পড়েছিলেন চোটে। সেই চোটে গত বছরের প্রায় অনেকটা সময়েই মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে। গত এক বছরের বাইশ গজে পাকিস্তান ব্যস্ত সময় পার করলেও, চোটের সঙ্গে লড়ে শাহিন খেলতে পেরেছেন তিন ভাগের মাত্র এক ভাগ ম্যাচ। 

হাঁটুর চোট কাটিয়ে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ফিরেছিলেন মাঠে। পাকিস্তানকে ফাইনালে তুলতেও রেখেছিলেন মূখ্য ভূমিকা। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ চলাকালীন ইনজুরিতে পড়ে ফের দীর্ঘদিনের জন্য চলে যান মাঠের বাইরে। সমর্থকদের একাংশ অবশ্য দাবী, ফাইনালে আফ্রিদি ইনজুরিতে না পড়লে ম্যাচের ফল হতে পারত ভিন্ন। এবার শাহিন আফ্রিদি নিজেও সেই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে চোট না পেলে জিততে পারত পাকিস্তান।

২০২১ বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের যাত্রা থেমেছিল সেমিফাইনালে গিয়ে। সেবার অবশ্য রীতিমতো খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ফাইনালে যেতে শেষ ২ ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। ১৯তম ওভার করতে আসা শাহিন শুরুটাও করেন দুর্দান্ত। ওভারের তৃতীয় বলে শাহিন আফ্রিদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু সেই ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলী। জীবন পেয়েই শাহিন আফ্রিদিকে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে দেন এই অজি ব্যাটার।

সম্প্রতি ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপের সুরে শাহিন তাই বলেছেন, ‘দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা প্রতিটা ক্রিকেটারের স্বপ্ন। ২০২১ সালের বিশ্বকাপটা কীভাবে শেষ হয়েছিল, এখনো মনে আছে। ২০২২ বিশ্বকাপেও যদি অত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চোট না পড়তাম, আমরা জিততেও পারতাম।’

সেসব অতীত নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই এখন আর, সেই বাস্তবতাও বুঝেন শাহিন আফ্রিদি। তাই এসব নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। আফ্রিদি আরও বলেছেন , ‘ চোট যেকোনো সময়ই আসতে পারে। তবে এসব নিয়ে বেশি ভাবলে সামনে এগোতে পারব না।’

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷