ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সাথে প্রতিনিধিত্ব করছেন মাতৃভাষার

ভিড়ের মাঝে আলোর প্রদীপ

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৩২

আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজ। ফাইল ছবি। আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজ। ফাইল ছবি।

মুস্তাফিজুর রহমান নামটির সাথে মিশে আছে কাটার ও স্লোয়ারের সংমিশ্রণ। একজন ফাস্ট বোলার হয়েও গতিহীন বলা চলে ফিজকে। কারন এই বামহাতি বোলারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র গতি কিংবা বাউন্সার নয়। জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে দলকে নিয়মিত ভাবে দিয়ে যাচ্ছেন অনন্য কিছু। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ও একদিনের ক্রিকেটের জন্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিদায় বলেছেন আল্টিমেট ফরম্যাটকে। বিসিবিও সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন হাসিমুখেই। 

চলতি আইপিএলে নেই সাকিব আল হাসান। তাসকিনের সুযোগ আসলেও দেশের ক্রিকেটের জন্য হয়নি সুযোগ লুফিয়ে নেওয়া। নিলামে দিল্লি ব্যতীত অন্য  থেকে কোন দল আগ্রহ না দেখালে শেষ পর্যন্ত ঠিকানা হয় রিকি পন্ডিংয়ের দলে। আফ্রিকা সফর শেষে দলের সাথে যোগ দিলেও ফিজের খেলা হয়নি প্রথম ম্যাচ। তবে এরপর বাকি তিন ম্যাচে যা করেছেন তাতে মুগ্ধ সতীর্থ, কোচ থেকে শুরু করে ভারতীয় গণমাধ্যম। 

মোস্তাফিজুর রহমানের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ থাকার কোন কথা নয়। তবুও বারবার উপেক্ষিত আইপিএলে। কখনো দল পেতে বেগ পেতে হয়। কখনো একাদশে সুযোগ হয়না। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নিজের জাত চিনিয়েছেন  দাপটের সাথে।হায়দ্রাবাদে থাকাকালীন সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে। এবারে বন্ধুত্ব মজবুতভাবে তৈরী হয়ে হয়েছে পন্টিও ও দিল্লি অধিনায়ক প্যান্টের সাথে। 

দিল্লির হয়ে বল হাতে ছন্দ খুঁজে পেলেও মাদিবার রাষ্ট্রে যখন উইকেট শূন্য ছিল ফিজ তখন হয়তো অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমী ভেবেছিল আরেকবার বসেই কাটাতে হবে আইপিএল। তবে তারকাদের অবর্তমানে যখন সুযোগ পেল তা কাজে লাগালো ততটাই যতটা লাগানোর ফলে একদাশ থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

নিলামে অনেক দল ভাবতে পারে মুস্তাফিজকে নিয়ে কিই বা হবে। তবে এখন হয়তো অনেকে আপসোস করে হয়তো বলে ইশ যদি মুস্তাফিজ থাকতো। সময়ের কাজ সময়ে করতে হয় নতুবা পরে আপসোস ব্যতীত অন্যকিছুর উপায় থাকেনা।

আরও পড়ুনঃ রোহিতের অন্যন্য কীর্তি, গড়লেন একাধিক রেকর্ড

মুস্তাফিজ যাওয়ার আগে বলেছিলেন সাকিব ভাই নাই এবার পুরো সমর্থন আমি পাবো। যেই কথা সেই কাজ। মুস্তাফিজময় এবারের আইপিএল বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তদের জন্য। খেলার মাধ্যমে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি মাতৃভাষারও প্রতিনিধিত্ব করছেন ফিজ। যে কোন সাক্ষাৎকারে ব্যবহার করেছে মায়ের ভাষা। ওয়ার্নারের মত হয়তো এবার পন্টিংও শিখবে বাংলা ভাষা।

মুস্তাফিজ আরও দূরন্ত হোক। জানিয়ে দিক আমরাও পারি। খালি চোখে যেটি স্বাভাবিক, খালি চোখের অন্তরালে সেটিই অপমান। হয়তো পেশাদারী খেলোয়াড় হিসেবে সেই অসম্মান মেনে নিতে হয়েছে ফিজকে। তবে জবাব ঠিকই দিচ্ছেন বল হাতে।

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...