ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শেষের শুরুর সফলতা হোক পরিপূর্ণ

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২ ২০:০১

মুশফিকুর রহিম৷ ছবি সংগৃহীত মুশফিকুর রহিম৷ ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওন:  শুরুর গল্প অনেক পুরনো৷ দিনের হিসেবে সংখ্যার বিচারে যোগফল হবে দীর্ঘ৷ তাই বছরের আলোচনা করাই হবে শ্রেয়৷ ১৮ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা ছেলেটি কাটিয়ে দিয়েছে ১৭ বছর৷ অভিমান, অভিযোগ কিংবা প্রকৃতির নিয়মে শেষ অধ্যায়ের খুব কাছেই মুশফিক তা বলা যেতেই পারে স্বাভাবিক নিয়মে৷ হয়তো '২৩'এর বিশ্বকাপ নতুবা সর্বোচ্চ ২৭ সাল৷ 

২৬ মে ২০০৫ সাল৷ ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা পোষাকে অভিষেক হয় মুশফিকুর রহিমের৷ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান ছিল এক ইনিংস ও ২৬১ রান৷ ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে মুশফিকের সংগ্রহ ছিল মোটে ২২৷ সেদিনের নবাগত মুশফিক বাংলাদেশ ক্রিকেচে পঞ্চপান্ডবের একজন৷ তবুও আলোচনা সমালোচনায় মাঝে মধ্যে হয়ে যায় খলনায়র৷ সমস্ত কিছুর জবাব ব্যাট হাতে চলতি সিরিজে দিতে হাকিয়েছেন দুই শতক৷

বাংলাদেশ দলে নিজের প্রয়োজন কিংবা গুরুত্ব কতটুকু তা নতুনভাবে প্রমাণের কিছু নেই এই উইকেট রক্ষক ব্যাটারের৷ তবে জাতি হিসেবে অতিরিক্ত খেলা প্রেমি হওয়ায় হরহামেশাই দলের প্রয়োজনে পাজরের ব্যাথা নিয়ে ম্যাচ খেলা মানুষটিকেও দাঁড়াতে হয় বিচারের কাঠগড়ায়৷ শুনতে হয় বাদ পড়ার গুঞ্জন৷ আবার কখন বাদই পড়তে হয় স্কোয়াড থেকেই৷

সহজ সরল সাবলীল ভাষায় মুশফিককে বিশ্লেষণ করলে অর্থ দাঁড়াবে নিঁখুত হাতের কারুকার্য শিল্পের কারিগর৷ বাংলার ক্রিকেটের বেলাতে পরিশ্রমীদের মধ্যে অন্যতম, সাথে সর্বশ্রেষ্ঠ৷

গেল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বৈশ্বিক আসর থেকেই নানান সমালোচনায় কাটিয়েছেন দিন৷ পরিশেষে মিলেছে প্রশান্তি, পূর্ণতা পেয়েছে সফলতার সবটুকু, সাথে মাথায় থাকা ক্যাচ কিছুটা উচু করে কপালে হাত দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর মূলমন্ত্র৷ এ যেন শেষের শুরুতে নতুন কিছু৷ এমন সফলতা অবিচল থাকুক শেষ বিকেল পর্যন্ত৷

ঘরের মাঠে যখন শ্রীলংকার আগমন তখন থেকেই আলোচনায় ছিল পরের মাসে উইন্ডিজ সফর৷ ছুঁড়ে ফেলা কিংবা বাদ পড়ার গুঞ্জন যখন প্রকট তখন রানের ফোয়ারা বইয়ে ছুটি নিয়েছেন সেই সিরিজ থেকে৷ হজ্ব পালনে প্রিয় মক্কা নগরীতে যাবেন এই ব্যাটার৷

শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয় দশ উইকেটে৷ তবে লজ্জা হতে পারতো আরও বড়৷ যদি না ব্যাট হাতে না আসতো ১৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস৷ লিটনের সাথে জুটি বেঁধে ২৭২ করে যদি না হতো বিশ্বরেকর্ড তাহলে আজকের আলোচনা হয়তো হতো ভিন্ন৷ চলে যেত বিচিত্র পথে৷

চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে দাপট দেখানো মুশফিক জবাব দিয়েছেন সমস্ত সমালোচনার৷ দূর করে দিয়েছেন বাদ পড়ার সম্ভাবনা৷ প্রথম বাংলাদেশী টেস্ট ব্যাটার হিসেবে করেছেন পাঁচ হাজার রান৷ প্রবেশ করেছেন এলিট ক্লাবে৷ বড় স্বপ্ন দেখিয়েছেন ছোট্ট জয়কে৷ মুশি এখন সবার মধ্যমনি৷ দিন কয়েক পূর্বে বিসিবি প্রধানের কথা রূপ নিয়েছে ভিন্ন কিছুতে৷ হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন বিকল্প নেই মুশফিকের৷

উইন্ডিজ সফরে মুশফিক দলে থাকতেন কি না তা বড় প্রশ্ন থাকলেও মুশফিক ইতি টেনেছে সমস্তকিছুর৷ টিকে থাকার লড়াইয়ে মার্ক পেয়েছেন শতভাগ৷ খেলতে চায় দেশের হয়ে আরও অনেক ম্যাচ৷

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...