ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভাগ্য সহায় হচ্ছে না মুমিনুলের!

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২২ ০৬:৩৯

মুমিনুল হক। ছবি সংগৃহীত মুমিনুল হক। ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওনঃ বাংলাদশের টেস্ট ইতিহাসে নিশ্চিতভাবেই ব্যাট হাতে সবার উপরে ‍মুমিনুল হক। রানের বিচারে তামিম,মুশফিকের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও শতকের বিচারে তিনি ছাড়িয়েছেন সব সতীর্থদের। বাকি দুই সংস্করণের চেয়ে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে বেশি আস্থা এই বামহাতি ব্যাটারকে সময়ের সাথে নিতে হয়েছে জাতীয় দলের দায়িত্ব। মুমিনুল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেমন হারিয়েছেন নিজের ছন্দ তেমনি দল হরহামেশাই গড়েছে লজ্জার রেকর্ড। তবে দলীয় পারফরম্যান্সে এই লিটল মাস্টারকে দোষারোপ করা অন্যায় হবে। কারন টেস্টে ভালো করতে প্রয়োজন পূর্ণশক্তির দল। সেটি খুব কম সময় ভাগ্যে জুটেছে মুমিনুলের। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়েছে পঞ্চপান্ডবের হাত ধরেই। তা যেমন সকলের জানা তেমনি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। রঙ্গিন পোষাকে সবার উপস্থিতি থাকলেও সাদা পোষাকে পাওয়া যায়না বেশ কয়েকজনকে। ইতিমধ্যে অভিমানে কিংবা বাস্তবতায় আভিজাত্যের ফরম্যাটকে বিদায় বলেছেন সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তামিমের উপস্থিতি কমেছে আগের তুলনায়। সাকিব ইস্যুতে আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। যাদের প্রত্যক্ষ অবদানে রঙ্গিন পোষাকে টিম টাইগার হয়েছে শক্ত প্রতিপক্ষ, তাদের অনুপস্থিতিতেই মুমিনুল বাহিনী হয়েছে দিশেহারা। 

সর্বশেষ সিরিজে তামিম টেস্ট দলের সাথে যুক্ত হলেও প্রিয়জনদের অসুস্থতার কারনে খুব কাছে গিয়েও খেলা হয়নি সাকিব আল হাসানের। চলতি মাসে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই সাকিবকে দলে পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। তাতে অনেকটা স্বস্তি এসেছিল টাইগার শিবিরে। নিজের পছন্দের মাঠে সাকিবকে পাওয়ার সম্ভাবনায় আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল কাপ্তান মুমিনুল নিজেও। তবে মাঠের লড়াই শুরুর আগে যতটা দুঃসংবাদ দলের জন্য তার থেকে বেশি কষ্টে মুমিনুলের জন্য। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সাকিবকে পাওয়া যাবে না প্রথম ম্যাচে। 

ঘরের মাঠে কখনো শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট জিততে পারেনি টিম বাংলাদেশ। কিছুদিন পূর্বেও লজ্জার রেকর্ড গড়লেও স্বপ্ন দেখছিল নতুন ইতিহাস রচনার। সাকিবের অনুপস্থিতিতে দল লক্ষ্য পূরণে আপ্রাণ চেষ্ঠা করবে তা বলার অপেক্ষা না রাখলেও সাকিব থাকলে দল কম্বিনেশন কতটা সহজ হয় তা জানা সকলের। 

ইনজুরির কারনে ছিটকে পড়েছেন তাসকিন আহমেদ। কিছুটা শঙ্কা রয়েছে শরিফুলকে নিয়েও। ক্যাচ ধরতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ে সুযোগ মিস হয় মিরাজের। এমন সময় সাকিব ছিল আশার প্রতীক। মিরাজের অভাব পূরণে ম্যানেজম্যান্ট বাধ্য হয়ে দুজনকে যুক্ত করেন। সাকিবের না থাকায় স্বাগতিকদের চাপ বাড়লো তা দিবালোকের মত সত্যি। তাই বলা যায় ভাগ্য সহায় হচ্ছে না মুমিনুলের। 

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...