ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আইপিএলে দলের প্রচার কাজে ব্যবহৃত হয় মুস্তাফিজরা!

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ৯ মে ২০২২ ২০:১২

আইপিএলে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ছবি সংগৃহীত আইপিএলে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওনঃ বর্তমান সময়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে অনেকটাই নারাজ অধিকাংশ তরুণ খেলোয়াড়। তবে সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, বিশেষ করে ফ্রাইঞ্চাইজি লিগ। আবার সবলিগের মাঝে আইপিএলের অবস্থান সবার উপরে। আইপিএল মৌসুম এলেই শুরু হয়ে যায় দেশ আগে নাকি টাকা আগে। যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্বের তারকা ক্রিকেটারদের মেলা বসে নির্দিষ্টি সময়েই। বাংলাদেশ থেকেও সুযোগ মিলে সাকিব ও মুস্তাফিজের। স্বাভাবিক চোখে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মনে হলেও তাদের কাজ হয়ে উঠে মূলত দলের প্রচার। 

চলতি আইপিএলে দেশের ক্রিকেটের জন্য দল পায়নি সাকিব আল হাসান। টাইগারদের সিরিজ থাকলেও টেস্ট স্কোয়াডের বাইরে থাকার কারনে সুযোগ মিলে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। আফ্রিকা ওডিআই সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে আইপিএলে যোগ দেওয়ার পরে এই বোলারকে নিয়ে প্রকার উৎসব করেন দিল্লি টিম ম্যানেজম্যান্ট। সকলের ভরসার মূল্য বল হাতে দেন ফিজ। বল হাতে ২৩ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। 

এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের খেলা ম্যাচগুলোর মধ্যে ডট বলের বিচারে সবার উপরে ছিলেন কাটার মাস্টার। এছাড়াও ঝুলিতে রয়েছে ৫ উইকেট। যদিও প্রতি ম্যাচেই ফিল্ডাররা এক কিংবা একাধিক সহজ ক্যাচকে কঠিন করতে গিয়ে করতে পারেননি তালুবন্দী। ফলে ভালো বল করেও বাড়েনি উইকেট সংখ্যা।  

নিজের খেলা প্রতি ম্যাচেই নিজের বোলিং কোটা পূর্ণ করা মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ ম্যাচে ওভার প্রতি বোলিং গড় ছিল প্রায় ৬। বাকি তিন ম্যাচে খরুচে মুস্তাফিজের বোলিং গড় প্রায় ১১। ৮ ম্যাচের বিচারে বোলিং গড় ৭ এর সামান্য বেশি। এমন বোলিং গড় বিশ্ব ক্রিকেটে আদর্শ। আইপিএল বিচারে আরও বেশি আদর্শ। 

ম্যাচে দূর্দান্ত বোলিংয়ে একাধিকবার কোচ পন্টিংয়ের কাছে ম্যাচ সেরার খেতাব পাওয়া ফিজ বর্তমানে সুযোগ পায়না মূল একাদশে। ভালো খেলেও বসে থাকা কখনো সুখকর নয় কোন ক্রিকেটারের জন্য। আইপিএলে এবার বিশ্বমানের বোলাররাও ব্যাটারদের দাপটে জাত চেনাতে ব্যর্থ। তবুও তারা অবহেলিত নয় মাঠের লড়াইয়ে। অথচ ভালো মানের বোলিং করেও জায়গা হয়না ফিজের। ভালো করার পরেও সুযোগ না পাওয়া যে ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে হতাশা বৃদ্ধি করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র ফিজ নয়, অতীতে সাকিবকেও একই ভাবে বসিয়ে রাখা হতো। ভালো করার পরেও ছোট কারন দেখিয়ে দলে সুযোগ না দেওয়া ছিল নিত্য দিনের চিত্র। 

আইপিএল থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড় তৈরীর পাশাপাশি আয় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। যা কোন অপরাধ কিংবা ভুল নয়। দল পরিচালনায় দলের মালিকরাও ব্যায় করেন বিশাল অঙ্কের টাকা। বিজ্ঞাপনে সে টাকা উঠে আসলেও মূলত আলাদাভাবে প্রচারে নামে দলগুলো। কম টাকায় বড় মানের বিজ্ঞাপন চালাতে দলগুলো টার্গেট করেন হয়তো বাংলাদেশীদের। 

চলতি আইপিএলে দুই কোটি টাকায় ফিজ বিক্রি হলেও আইপিএল বিচারে এই টাকা খুব বেশি নয় এটি সবারই জানা। কারন এমন অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও ভিত্তি মূল্যই থাকে অনেক বেশি। 

বাংলাদেশী মানুষেরা ক্রিকেটের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। মুস্তাফিজকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটে আগ্রহ রয়েছে বেশি। যে দলের হয়ে মুস্তাফিজ কিংবা সাকিব খেলেন সেই দলের প্রতি দেশের মানুষদের আলাদা ভালোবাসা কাজ করে। আর এই ভালোবাসাকে পূঁজি করে দলগুলো। তাই হয়তো টিম ডিরেক্টর সুজন বলেন আইপিএল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। 

-নট আউট/এমআরএস

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...