ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পান্ডবদের অনুপস্থিতে অসহায় মুমিনুল

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩৬

একসাথেই কখনোই পান্ডবদের পায়নি মুমিনুল। ফাইল ছবি একসাথেই কখনোই পান্ডবদের পায়নি মুমিনুল। ফাইল ছবি

মশিউর রহমান শাওনঃ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলা প্রায় দুই যুগের হলেও সংগ্রামী পথচলা ৫-৬ বছরের। তিন সংস্করণে এই সময়ে যতটা এগিয়েছে একদিনের ক্রিকেটে ঠিক ততটাই হয়তো পিছিয়েছে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ও আল্টিমেট ফরম্যাটে। পরিসংখ্যান কিংবা সমীকরণ সামনে না আনলেও খোলা চোখেই এটি বোঝা যায় স্বাভাবিকভাবে। তবে সাফল্য যে একেবারে আসেনি এমনটিও নয়। যেটুকু এসেছে তাতেই সন্তুষ্ঠ না থেকে উপায়ও বা কি। তিন সংস্করণের বিচারে টিম টাইগার যতটা অসহায় সাদা পোষাকে তার থেকেও বেশি অসহায় এই সংস্করনের কাপ্তান মুমিনুল।

বাংলাদেশ ক্রিকেট সংগ্রহশালা যতটা সমৃদ্ধ তার বেশিরভাগই পঞ্চপান্ডবের হাত ধরেই। মাশরাফির জাতীয় দল থেকে বিদায়ের পর বাকি চারজন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটকে। সাথে অভিজ্ঞতায় তরুণ লিটন, মিরাজ, আফিফদের অবদান যথার্থ। দুই ফরম্যাটে চার পান্ডবের নিয়মিত উপস্থিতি থাকলেও মুশফিক ব্যতীত বাকি তিনজনই নেই টেস্ট ফরম্যাটে। ফলে তুলনামূলক ভাবে একাদশ সাজানো থেকে শুরু করে মাঠে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বিপাকে পড়তে হয় অধিনায়ক মুমিনুলকে। 

আবেগ কিংবা ব্যক্তিগত যেই সিদ্ধান্তেই সাদা পোষাককে বিদায় বলুক রিয়াদ সেই সিদ্ধান্তে যে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। টেস্টের প্রতি বরাবর অনীহা প্রকাশ করেন সাকিব নিজেই। চলমান আফ্রিকা সিরিজে বিরক্তের ফরম্যাটে খেলতে রাজি হলেও পরিবাবেরর দুঃসময়ের কারনে পাওয়া যায়নি এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। বিভিন্ন কারনে পাওয়া যায়না ওডিয়াই কাপ্তান তামিম ইকবালকে। গত চারবছরের কালে ভদ্রে যে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে তার অধিকাংশগুলোতেই পাওয়া যায়নি সাকিব-তামিমকে। ফলে মুমিনুল বাহিনীকেও পড়তে হয়েছে বিপাকে। 

সাদা পোষাকের দায়িত্ব নিয়ে একপ্রকার অসহায় মমিনুল হক। হয়তো পড়ন্ত বিকেলে নতুবা কোন দিনের কোন এক অংশে চুপিসারে অশ্রু ফেলেন কাপ্তান যখন এলোমেলো হয়ে যায় মাঠের পরিকল্পনা। দূর আকাশে তাকিয়ে হয়তো ভাবেন যদি পাওয়া যেত তামিম-সাকিবের সাথে সাইলেন্ট কিলার রিয়াদকে তাহলে ইংল্যান্ড, অজিদের মত হারানো যেত যে কোন দলকেই।

মুমিনুল নিজেও নিজেকে দূর্ভাগা বলেই অভিহত করেন। না করারও কি বা উপায় আছে। দলে সিনিয়র না থাকাটা অধিনায়কের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্ষেত্রে চিত্র কিছুট আলাদা। কারন এই দুই ফরম্যাটে যে কেউ দায়িত্ব নিতে পারে। কিন্তু টেস্টে সবসময় সিনিয়রদের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অভিজ্ঞদের। নতুবা পাঁচ দিনের লড়াইয়ে টিকে থাকা বড্ড কঠিন। যার সবশেষ উদাহারণ চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৷

 

-নট আউট/এমআরএস/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...