ঢাকা | রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

তামিম-রিশাদ ঝড়ে সিরিজ বাংলাদেশের

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৮

সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ছবি: ইন্টারনেট সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ছবি: ইন্টারনেট

নট আউট ডেস্কঃ দুনিথ লিয়ানাগের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কা পেয়েছিল ২৩৫ রানের মাঝারি সংগ্রহ। জবাবে সৌম্যর কনকাশন সাব হিসেবে নেমেই ঝড় তোলেন তানজিদ তামিম। লঙ্কান বোলারদের পিটিয়ে তুলে নেন ফিফটি। তবে, অন্যপ্রান্তে ছিল আসা যাওয়ার মিছিল। তাতেই সহজ ম্যাচটা কঠিন বানিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে তামিম কাটা পড়লে ফের চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। চাপে পড়া বাংলাদেশ রিশাদের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত দাপুটে জয় নিয়েই ছাড়ে মাঠ। ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজটাও নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। 

সাগরিকায় এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তাসকিনের বোলিং তোপে সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার প্রাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো। এরপর কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় পঞ্চাশ পার করার আগেই মুস্তাফিজের শিকার হয়ে সাদিরা সামারাবিক্রমা ফিরেন।

এরপর ইনফর্ম কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেন। যদিও উইকেটে থিতু হয়েও উইকেট গিফট করে আসেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ৩ চারে ফিরেন ২৯ রানে। কুশলের বিদায়ের পর আসালাঙ্কা ও লিয়ানাগের জুটি জমে উঠে বেশ। যদিও এই জুটি বড় করতে দেননি মুস্তাফিজ। ৩৭ রান করা আসালাঙ্কা ফিরলে ভাঙে এই জোট।

হাসারাঙ্গা, ভেল্লালেগেরাও ফিরে যান দ্রুত। তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মহিশ থিকসানাকে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন লিয়ানাগে৷ তাতেই লড়াকু পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান এই লিয়ানাগে। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন লিয়ানাগে৷ বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী মিরাজ নেন ২ উইকেট করে।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নামার আগে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সৌম্য সরকার। তাতেই তার কনকাশন সাব হিসেবে ওপেনিংয়ে আসেন তানজিদ তামিম। সেটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য হয়ে আসে শাপে বর হয়েই। সুযোগ পেয়েই শুরু থেকেই চড়াও হয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন এনামুল। 

উদ্বোধনী জুটিতে এই দু'জন মিলে যোগ করেন ৫০ রান। ১২ রান করা বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর অধিনায়ক শান্ত ফিরে যান দ্রুত। তৃতীয় উইকেটে তামিমকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। ফিফটি তুলে নেন তামিম। এই জুটিতেই দলীয় একশ পার করে বাংলাদেশ। এরপর তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দ্রুত ফিরেন সাজঘরে। 

বাংলাদেশের টপ অর্ডারের প্রথম চার জনকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের ম্যাচে রাখার চেষ্টা করেন পেসার লাহিরু কুমারা। এরপর দারুণ ব্যাট করতে থাকা তামিম তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই বিলিয়ে আসেন উইকেট। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় তামিম ফিরেন ব্যক্তিগত ৮৪ রান করে। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী মিরাজ। 

এই দুজনের ব্যাটে জয়ের পথে থাকে বাংলাদেশ। ৩ চারে ২৫ রান করা মিরাজ ফিরলে ভাঙে এই জুটি। জয়ের জন্য তখনও বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫৪ রান। এরপর নেমেই ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পিটিয়ে কার্যত লঙ্কানদের ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখে বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১৮ বলে ঝড়ো ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রিশাদ। ৩ চার ও ১ ছক্কায় মুশফিক করেন ৩৭ রান।

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।