ঢাকা | শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের কীর্তিতে মুগ্ধ সিডন্স

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪১

মাহমুদুল হাসান জয়। ফাইল ছবি মাহমুদুল হাসান জয়। ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে সবচেয়ে আলাদা আল্টিমেট ফরম্যাট কিংবা যেটিকে সাদা পোষাকের টেস্ট ম্যাচ বলা হয়ে থাকে। কেনই আলাদা সেটি দিনের প্রতি মূহুর্ত্বে, প্রতি ক্ষনে দেখা যায়, যেমন দেখা যায় মেঘহীন নীল আকাশকে। ধৈর্য, প্রতিক্ষা, লড়াই সমস্তকিছুর সংমিশ্রণ থাকে টেস্ট ম্যাচে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দলীয় মাঝেমধ্যেই লড়াইয়ের যুদ্ধে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বড় দলগুলোকে আবার একাদশে থাকা খেলোয়াড়দের কেউ ছাড়িয়ে যাচ্ছে সাবেক গ্রেটদের অথবা নাম সংযুক্ত করছে তাদের পাশে। তেমনি এক কীর্তি আফ্রিকার ডারবানে গড়েছেন চলমান টেস্ট সিরিজে তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়।

ম্যান্ডেলা যেমন লড়াই করে জিতেছেন নিজের গোষ্ঠীর হয়ে, ঠিক তেমনি সে দেশের খেলোয়াড়দের লড়াইয়ে বড্ড মলিন এই উপমহাদেশের দলগুলো। সাকিব না থাকার ফলে প্রথম টেস্ট ম্যাচে একটি বড় ধরনের পরীক্ষায় আবার পড়তে হবে দলকে এটি ছিল জানা কথা। মমিনুলের টসে জিতে বোলিং করা সিদ্ধান্তে সমালোচনা হলেও বল হাতে খুব একটা খারাপ করেননি বোলাররা। তবে ব্যাটিংয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে টিম টাইগার ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর যুব বিশ্বকাপজয়ী জয়ের আপোসহীন ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশ ২৯৮ রান করতে পারে। ৩২৬ বলে ১৩৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং তাদের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটি প্রথম শতক। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ১৭০ বলে আর সেঞ্চুরি ২৬৯ বলে।

টেস্ট ম্যাচে সবসময় আদর্শ ব্যাটিং প্রয়োজন। আদর্শ ব্যাটিং ব্যাতিত জয় লাভ করা মোটেও সম্ভব নয়। একটি আদর্শ টেস্ট ইনিংস কেমন হতে পারে তা জানার জন্য ক্রিকেট ইতিহাস জানা কিংবা ক্রিকেটের গ্রেট ব্যাটসম্যানদের টানারও প্রয়োজন নেই। কেউ এমন প্রশ্ন করলে, ডারবানে সদ্য খেলা মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনিংসটিকে দেখিয়ে দিন। একুশের তরুণ জয়ের মহাকাব্যিক এই ইনিংসটিকেই ড্রেসিং রুমে উদাহরণ হিসেবে যে টেনেছেন খোদ বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।

সিডন্স বলেন, 'জয়ের এই ইনিংসকে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। দলের যে পরিস্থিতি ছিল আমার মনে হয় না এমন পরিস্থিতিতে এরচেয়ে ভালো টেস্ট ইনিংস খুব বেশি আছে বাংলাদেশি ব্যাটরদের। এই দাপুটে ইনিংসকে সিলমোহর হিসেবে ব্যবহার করলে ভুল হবে না। সে খুব ধৈর্যশীল ছিল। খুব বেশি কিছু চেষ্টা না করে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছে।যেটি তাকে অন্যদের তুলনায় ভিন্ন করে তুলেছে। দলের সকলে তাঁর পারফরম্যান্সে গর্বিত। তার ব্যাটিংয়ে একপ্রকার মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। আমি নিজেও মুগ্ধ হয়েছি।'

সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এশিয়ার মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিনশর বেশি বল খেলার কীর্তি গড়েছেন। রাহুল দ্রাবিড় ১৯৯৭ সালে ১৪৮ রানের ইনিংসে ৩৬২ বল খেলেছিলেন। টেন্ডুলকার ২০১১ সালে ১৪৬ রান করার জন্য খেলেছিলেন ৩১৪ বল।

এছাড়া মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান চারশ মিনিটের বেশি সময় ক্রিজে থেকেছেন। জয় ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলছেন ৪৪২ মিনিটে। দ্রাবিড় ১৪৮ রান করেছিলেন ৫৪১ মিনিটে। টেন্ডুলকার ১৪৬ রান করতে ৪৬৫ মিনিট ক্রিজে থেকেছেন। এছাড়া লোকেশ রাহুল ১২৩ রান করেছেন ৪০২ মিনিটে।

 

-নট আউট/এমআরএস/টিএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।