বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কাদিরের জন্য
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৩
নট আউট ডেস্কঃ পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কের দায়িত্ব বাবর আজমের কাঁধে। ব্যাটসম্যান বাবর যেমন সফল, তেমনি অধিনায়ক বাবর আজমও পিছিয়ে নেই খুব একটা। সবশেষ এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বেই ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। অধিনায়ক হিসেবে দলকে বাবর গেঁথে রেখেছেন এক সুতোয়।
এদিকে বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের তারকা স্পিনার উসমান কাদিরের। যুব দল থেকেই দু'জন একসাথে খেলেছেন। বাবরের অধিনায়কত্বেই জাতীয় দলেও অভিষেক হয়েছে কাদিরের। এরপরেও এই স্পিনার দাবি করেছেন, বাবর সঙ্গে বন্ধুত্বই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উসমান কাদির জানিয়েছেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজ থেকে নয়। আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যখন আমরা দুইজন অনুর্ধ্ব-১৫ দলের ট্রায়াল দিয়েছিলাম, তখন থেকেই আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। বাবর অধিনায়ক হওয়ার পরেই আমি জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পাই। তবে তার মানে এই নয় যে, বাবর আমাকে দলে নিয়েছে। অনৈতিক সুবিধা আমাকে কোনভাবে দেওয়া হয়নি। আমাকে জাতীয় দলে এনেছিলেন মিসবাহ উল হক। আগেও বলেছি, বাবর আমাকে দলে নেয়নি এবং কেন নেবে বাবর? এটা তাঁর নিজস্ব দল নয়। এটা পাকিস্তান দল। এমনকি বাবর নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন।’
যুব দল থেকেই বাবরের সঙ্গে একসাথে বেড়ে উঠা, সেই পরিচয়ে জাতীয় দলে খেলছেন উসমান কাদির। এমন গুরুতর কথাও বেশি কয়েকবার চাউর হয়েছে গণমাধ্যমে। আর সেটাই কাদিরের মতে, আমাদের বন্ধুত্ব দু'জননের জন্য চাপ হয়ে এসেছে।
কাদির আরও জানিয়েছেন, ‘বাবর ও আমার বন্ধুত্ব নিয়ে যদি কথা বলা হয় তাহলে বলব আমার কখনই দলের বাইরে থাকার কথা ছিল না। আসলে বাবরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব আমার উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করেছে। কারণ এটা আমাদের উভয়ের উপরই সমানভাবে বাড়তি চাপ যোগ করেছে। দুজনের ক্ষতি করেছে বিষয়টা।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উসমান কাদির পাকিস্তানের হয়ে ২৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যেখানে প্রায় ১৯ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ২৯ টি। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন একটি ওয়ানডে ম্যাচ।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।
হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।
‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: