ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

রাখলেন প্রতিজ্ঞা, মায়ের কাছে ফিরলেন ৯ বছর পর!

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২ ০১:৪৮

কার্তিকেয়া সিং। ছবি সংগৃহীত কার্তিকেয়া সিং। ছবি সংগৃহীত

নট আউট ডেস্কঃ মানুষ পারেনা এমন কোন কাজ নেই বলেই হয়তো পৃথিবী এত সুন্দর। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন একজন পেশাদার ক্রিকেটার হবেন। প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার পর্যন্ত ফিরবেন না নিজ বাড়িতে। সময় ও সুযোগ দুটো থাকলেও ফিরেননি বাড়িতে। কারন তখনও প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে পারেননি কার্তিকেয়া সিং। বাবাই নাকি বলেছিলেন, “যখন একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাড়ি থেকে একবার বেরিয়ে গেছই, তখন সেই প্রতিজ্ঞাটা পূরণ করেই দেখাও। কিছু অর্জন করে ফেরো। অবশ্য কার্তিকেয়ার পুলিশ কনস্টেবল বাবা শ্যামনাথ সিং অবশ্য সব সময় ছেলেকে উৎসাহই দিয়ে গেছেন।

 

ভারতীয় ক্রিকেটে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের একজন বলাই চলে কার্তিকেয়াকে। সবশেষ আইপিএলে ঝলক দেখিয়েছেন। এছাড়াও মুম্বাইকেই এবার রঞ্জির ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১১ ইনিংসে বোলিং করে পেয়েছেন ৩২ উইকেট। এর মধ্যে আছে তিনটি পাঁচ উইকেট–কীর্তি। 

গতকাল বুধবার বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন কার্তিকেয়া। বলেছেন ৯ বছর ৩ মাস পর বাড়ি ফেরা!

আরও পড়ুনঃ সাফল্যের কৃতিত্ব কোচ-অধিনায়ককে দিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার

এই নয় বছর কেন একবারের জন্যও বাড়ি ফিরলেন না কার্তিকেয়া? হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রদেশের এই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমি বাড়ি ফিরতে পারতাম। বাড়ি ফেরার সময়ও পেতাম। কিন্তু ফিরিনি। তাঁর মা ব্যাপারটিকে কীভাবে দেখেছেন? কার্তিকেয়া জানিয়েছেন, ‘আমি ভিডিও কল করা বন্ধ করে দিই। কারণ, মা কেবলই কাঁদতেন। নিজে থেকে ফোন করাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যখন মা ফোন করতেন, তখনই তাঁর সঙ্গে কথা হতো। রঞ্জির ফাইনালে মুম্বাইকে মধ্যপ্রদেশ হারিয়ে দেওয়ার পর আমি আবারও মাকে ভিডিও কল করি। তার আগে অনেক দিন পর প্রথম ভিডিও কল করেছিলাম যেদিন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে সুযোগ হলো। আইপিএলের আগে সবশেষ ভিডিও কল করেছিলাম ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশ দলে সুযোগ পেয়ে।’


কার্তিকেয়ার সংগ্রামের জীবনে কোচ সঞ্জয় ভরদ্বাজ অনেক সাহায্য করেছেন। তাঁর কৃতজ্ঞতার সীমা নেই কোচের প্রতি, ‘স্যারের সঙ্গে প্রথম যেদিন দেখা হলো, তিনি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ক্রিকেট খেলতে তো কিছু খরচ আছে। জুতো ও নানা ধরনের সরঞ্জাম লাগে। স্যার সবকিছুর খরচ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমার কাছে তাঁর এই প্রস্তাবটি ছিল হাতে আকাশের চাঁদ পাওয়ার মতো। আমি আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। কেঁদে দিয়েছিলাম। এমন সাহায্য কেউ তো করেনি। তিনি দিল্লিতে তাঁর কাছে চলে গেলাম। তিনি শুধু দিয়েই গেছেন। বিনিময়ে কিছুই চাননি। তিনি আমার বাবার মতোই। এখনো তিনি আমার পাশেই আছেন।’

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷