অজিদের নোংরা রাজনীতিতে খুশি ছিলেন না জাস্টিন

নিউজ ডেস্ক: জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ের ধরন নিয়ে অসন্তোষ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা, এমন গুঞ্জন ছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। এরপরও সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ঘরের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজে ল্যাঙ্গারের ওপর আস্থা রেখেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে গত ফেব্রুয়ারীতে নিজ থেকেই দায়িত্ব ছেড়েছেন ল্যাঙ্গার। এবার তিনি দায়িত্ব ছাড়ার কারণ জানালেন।

২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টের বল টেম্পারিং কাণ্ডে ড্যারেন লেহম্যানকে ছাঁটাই করার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছিল ল্যাঙ্গারের কাঁধে। তার অধীনে টেস্টের এক নম্বর দল হিসেবে আধিপত্য বিস্তার করছে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতেও শীর্ষে উঠেছিল তারা।

শিরোপা খরা কাটিয়ে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার মতো ব্যর্থতাও রয়েছে তার কোচিং ক্যারিয়ারে। তারপরও বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জয়ের পর প্রত্যাশিতভাবেই আরও অনেক সাফল্যের কাণ্ডারি হতে চেয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। কিন্ত সিএর নোংরা রাজনীতি পছন্দ হয়নি তার।

ল্যাঙ্গার বলেন, 'হাস্যকর হলেও আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শেষ ছয় মাস ছিল ১২ বছরের কোচিংয়ের সবচেয়ে উপভোগ্য সময়। আমরা সব কিছুই জিততে পারিনি কিন্তু আমার শক্তি ছিল এবং আমার মনোযোগ ছিল। শুধু নোংরা রাজনীতি ছাড়া (বাকি সব কিছুতে) আমি খুশি ছিলাম।'

ল্যাঙ্গার দায়িত্ব ছাড়ার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অজিদের অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। এই সফরে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেয়েছে অজিরা।

এই সিরিজে ম্যাকডোনাল্ডের কাজে খুশি সিএ। তাই তাকে পূর্ণকালীন দায়িত্ব দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ড্যানিয়েল ভেটরিকে।

-নট আউট/এমআরএস