ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আফ্রিদি মিথ্যাবাদী, ভণ্ড এবং চরিত্রহীন ব্যক্তি: কানেরিয়া

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২০

আফ্রিদিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কানেরিয়ার। ফাইল ছবি আফ্রিদিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য কানেরিয়ার। ফাইল ছবি

নট আউট ডেস্কঃ পাকিস্তান জার্সিতে একই সঙ্গেই দীর্ঘদিন মাঠ মাতিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি ও দানিশ কানেরিয়া। যদিও আফ্রিদির ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল কিংবদন্তির তকমা গায়ে মেখেই, অবশ্য সেই সৌভাগ্য হয়নি আরেক লেগি দানিশ কানেরিয়ার। ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে হয়েছিলেন নিষিদ্ধ। এরপর আর ফেরা হয়নি পাকিস্তান দলে। ফলে, মাত্র ১০ বছরেই ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে কানেরিয়ার।

এদিকে সতীর্থ হিসেবে দীর্ঘদিন আফ্রিদির সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া কানেরিয়া, এবার আফ্রিদিকে নিয়েই করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য। আফ্রিদির থেকে বেশ কয়েকবার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানেরিয়া আফ্রিদিকে মিথ্যাবাদী, ভণ্ড এবং চরিত্রহীন ব্যক্তি বলে অবিহিত করেছেন। 

আফ্রিদিকে ধুয়ে দিয়ে কানেরিয়া বলেন, ‘সে (আফ্রিদি) আমাকে দলে চাইত না। সে ছিল একজন মিথ্যাবাদী, ভণ্ড। কারণ, সে একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। আফ্রিদি একমাত্র যে কি না অন্য খেলোয়াড়দের কাছে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে তাদের প্ররোচিত করত। আমি ভালো পারফর্ম করছিলাম এবং সে আমাকে হিংসা করত। যাই হোক, আমার মনোযোগ ছিল কেবল ক্রিকেট নিয়ে। আমি গর্বিত যে পাকিস্তানের জন্য খেলেছি এবং এজন্য কৃতজ্ঞ।’

২০০৯ সালে কাউন্টিতে ফিক্সিং করার অপরাধে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কানেরিয়া। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এই শাস্তি দিয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিজের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করেও কোন ফায়দা হয়নি কানেরিয়ার। তবে, সে সময় শোয়েব আখতারকে পাশে পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুল করেননি তিনি।

কানেরিয়ার ভাষ্যমতে, ‘শোয়েব আখতার প্রথম ব্যক্তি যে আমার সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছে। তাকে আমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা। যদিও পরে সে কারও কাছ থেকে চাপের মুখে পড়ে এ নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে।’

 

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷