ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মার্শ ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৪

এক মার্শেই শেষ বাংলাদেশ। গেটি ইমেজ এক মার্শেই শেষ বাংলাদেশ। গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ আর সুখকর হলো না টাইগারদের। অজিদের কাছে রীতিমতো হেসেখেলেই হেরেছে নাজমুল শান্তর দল। সর্বসাকুল্যে মাত্র ২ জয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ মিশন।

পুনেতে এদিন আগে ব্যাট করে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি ও শান্ত-রিয়াদদের ব্যাটে চড়ে ৩০৭ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে এক মিচেল মার্শের কাছেই নত শিকার করে বাংলাদেশের বোলাররা। এই অজি তারকার হার না মানা ১৭৭ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট হাতে রেখেই বড় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার মিশনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। পুনেতে শুরু থেকেই এই দুই ওপেনার অজি বোলারদের কোন সুযোগই দেয়নি। তাতেই এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ পেরোয় দলীয় পঞ্চাশের গণ্ডি। এরপর তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। 

শন অ্যাবটের শিকার হয়ে ফেরার আগে এই ওপেনার ৬ চারে করেন ৩৬ রান। তামিমের বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন লিটন। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা হয়নি লিটনের। ৫ চারে ফিরেন ৩৬ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান নাজমুল শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। 

দু'জন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। দারুণ খেলতে থাকা শান্ত এরপরেই হারান খেই৷ ৬ চারে ৪৫ রান করে ফিরেন রান আউটে কাটা পড়ে। এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহিদ হৃদয়। শুরু থেকেই অজি বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন রিয়াদ। কিন্তু এবারও ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। 

শান্তর দেখানো পথে হেটে রিয়াদও কাটা পড়েন রান আউটে। ফেরার আগে এই তারকা ব্যাটার ১ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩২ রান। অন্যপ্রান্তে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ৫ চার ও ২ ছক্কায় তাওহিদ হৃদয় করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান। মেহেদী মিরাজ ২৯ ও মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা নেন ২ উইকেট করে। 

৩০৭ রানের টার্গেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু শুরুতেই বিধ্বংসী ওপেনার ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে তাসকিন আহমেদ দারুণ কিছুরই আভাস দেন। এরপর মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে টাইগার স্পিনারদের রীতিমতো নামিয়ে আনেন পাড়ার বোলারে। দু'জনই দ্রুত রান তুলে পেয়ে যান ফিফটির দেখা। তাতেই দলীয় একশ পার করে অস্ট্রেলিয়া। 

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্শ ও ওয়ার্নার গড়েন অবিচ্ছিন্ন শতাধিক রানের জোট। ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে নিয়ে ফিরিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু মিচেল মার্শ ঝড়ে সবটাই যেন হয়ে যায় লণ্ডভণ্ড। আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়টা নিশ্চিত করেন মার্শ। তৃতীয় উইকেট তাকে দারুণ সঙ্গে দেন স্টিভেন স্মিথ। 

এই দুজনের ব্যাটে চড়ে দলীয় দুইশ পার করে অস্ট্রেলিয়া। দেড় শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন মার্শ। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথও। শেষ পর্যন্ত এই জুটি আর ভাঙতেই পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে ৮ উইকেট হাতে রেখেই বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় মিচেল মার্শ করেন ১৭৭ রান। ৪ চার ও ১ ছক্কায় স্টিভেন স্মিথ করেন ৬৩ রান।

 

-নট আউট/টিএ 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি অ্যান্ডারসন...

চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন কোরি অ্যান্ডারসন।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার আফগানে ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্তদে...

এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত। বিশ্বকাপে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদেরই হারিয়েছি। এটা পুরো দলে...

বুমরাহদের আলাদা বল দিচ্ছে আইসিসি, অভিযোগ পাক তারকা...

ভারতীয় বোলরা যাতে বাড়তি সুইং পায় সেজন্য আলাদা বল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাজা।