রুশোর ঝড়ো সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের টার্গেট ২০৬

স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃকী দারুণ শুরুই না হয়েছিল। প্রথম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে আউট করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তারপর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে যেন দুঃস্বপ্নের সময়ই কাটলো বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো, কুইন্টন কক ব্যাটের আগুনে পোড়ালেন বাংলাদেশকে। তারা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন। এ জুটিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলেও রুশোর সেঞ্চুরি ঠেকাতে পারেনি টাইগাররা। সঙ্গে রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ।

সিডনিতে বৃহস্পতিবার ৫ উইকেটে ২০৫ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ২০৬ রান।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ধাক্কা দিয়েছিলেন তাসকিন। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে বাভুমাকে (২) ফেরান তিনি। তৃতীয় ওভারে তাসকিনকে আক্রমণ করেই চিত্রপট বদলে দেন রুশো-কক। তাদেরকে থামাতেই পারছিল না বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেক মাঝে মাঝে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন বটে। অন্যপ্রান্তে হাসান, তাসকিন, মিরাজ, সাকিবকে তুলোধুনো করেছেন তারা।

রুশো ৩০ বলে, ডি কক ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। তাদের ১৬৩ রানের জুটিটা ভাঙে ১৫তম ওভারে। আফিফের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দেন ডি কক। তিনি ৩৮ বলে ৬৩ রান (৭ চার, ৩ ছয়) করেন। ১৭তম ওভারে ত্রিস্টান স্টাবসকে (৭) ফেরান সাকিব। ওই ওভারেই ৫২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুশো। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। গত ৪ অক্টোবর ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তাই ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি রুশো। তবে ততক্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশাল স্কোর এনে দিয়েছেন। ১৯তম ওভারে সাকিবের বলে ক্যাচ দেয়ার আগে রুশো ৫৬ বলে ১০৯ রান করেন তিনি। যেখানে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা ছিল।

শেষ ওভারে মার্করামকে (১০) আউট করেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের সাকিব ২টি, তাসকিন, হাসান মাহমুদ, আফিফ ১টি করে উইকেট নেন।