প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল হেলস, রিজওয়ানের রেকর্ডের রাতে হারল পাকিস্তান
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৫৯
নট আউট ডেস্কঃ পাকিস্তানের অপেক্ষাটা ছিল দীর্ঘ ১৭ বছরের৷ দিনটি (২০ সেপ্টেম্বর) তাই স্মরণীয় করে রাখতেই চাইবে পাকিস্তান। কেননা, ২০০৫ সালের ফের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। অবশ্য ১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলতে নেমে, জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা।
করাচিতে সাত ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটায়, স্বাগতিক পাকিস্তানকে হেসেখেলেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এদিন আগে ব্যাট করা পাকিস্তান রেকর্ডবয় রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে। জবাবে দীর্ঘ তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা অ্যালেক্স হেলসের হাফ সেঞ্চুরিতে, ৬ উইকেটের বড় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের করা ১৫৮ রানের জবাবে, ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ফিল সল্টের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন হেলস। এই দু'জনের ব্যাটে চড়ে দলীয় পঞ্চাশ পার করে সফরকারীরা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ বলে ২০ রান করা মালানের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর বেন ডাকেটকে নিয়ে দলকে জয়ের কক্ষপথে রাখেন হেলস। মাঝে একবার জীবন ও পেয়ে যান এই ওপেনার।
তৃতীয় উইকেটে বেন ডাকেট ও হেলস মিলে যোগ করেন ৩৪ রান। ১৫ রান করা ডাকেটের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর হ্যারি ব্রুককে নিয়ে দলীয় একশ পার করেন হেলস। তাতেই জয়টা সহজ হয়ে যায় ইংলিশদের। চর্তুথ উইকেট জুটিতে এই দু'জন গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। প্রত্যাবর্তনে ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি ও পেয়ে যান হেলস। তবে দলকে জয়ের বন্দরে রেখেই সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৭ চারে খেলেন ৪০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস।
হেলস ফিরলেও পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক মঈন আলীকে নিয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান ব্রুক। শেষ পর্যন্ত ৪ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই বড় জয় তুলে নেয় মঈনের ইংল্যান্ড। ৭ চারে ২৫ বলে আনবিটেন ৪২ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি ব্রুক। পাকিস্তানের পক্ষে উসমান কাদিরের শিকার দুই উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে, নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ইনিংস খেলার পথে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েন রিজওয়ান। সতীর্থ বাবর আজমের সঙ্গে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম (৫২ ইনিংসে) ২ হাজার রানের রেকর্ডটি নিজের দখলে নেন এই পাক তারকা ব্যাটার।
এছাড়া অধিনায়ক বাবর খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ৩ ছক্কায় ইফতেখার আহমেদ খেলেন ২৮ রানের ইনিংস। ইংল্যান্ডের পক্ষে লুক উড নেন তিন উইকেট। আদিল রশিদের শিকার দুই উইকেট।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।
হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।
‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: