ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধ বিমানের পাইলট হতে চেয়েছিলেন রাজা

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২২ ০৬:৫০

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে রাজা এখন আলোচনায়। ফাইল ছবি বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে রাজা এখন আলোচনায়। ফাইল ছবি

নট আউট ডেস্কঃ জন্ম পাকিস্তানে, একটা সময় পরিবারের সঙ্গে পাড়ি জমান জিম্বাবুয়েতে। সেখানেই পরবর্তীতে হয়েছিলেন থিতু৷ মাস্টার্সে পড়াকালীন এসেছিলে খেলার সুযোগ। যদিও শৈশব থেকে স্বপ্ন ছিল হবেন যুদ্ধ বিমানের পাইলট, প্রায় সাড়ে তিন বছর অধ্যয়ন করেন বিমানবাহিনী কলেজেও৷ নিয়েছেন শারিরীক ও মানসিক প্রশিক্ষণ।  যা পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর কাজে না আসলেও, কাজে এসেছে বাইশ গজের লড়াইয়ে।

পাইলট হওয়ার অপূর্ণ বাসনা থাকলেও, সুযোগ পেয়ে হেলায় না হারিয়ে আকড়ে ধরলেন ক্রিকেটটাকেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার জানান দিয়ে সুযোগ পান জাতীয় দলে। এরপরই বিশ্ব ক্রিকেট চিনে জিম্বাবুয়ের তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজাকে।

অথচ পাকিস্তানে থাকাকালীন সিকান্দার রাজা নাকি কখনোই চিন্তাই করেন নি খেলবেন ক্রিকেট। সবসময় চেয়েছিলেন যুদ্ধ বিমানের পাইলট হবেন। তবে স্বপ্ন পূরণ না হলেও, নিজেকে সবসময় যোদ্ধাই মনে করেন রাজা। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেন সহজে।

সম্প্রতি ‘পাকিস্তান ক্রিকেট’ এই জিম্বাবুয়ে তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রকাশ করেছে একটি প্রতিবেদন। সেখানেই উঠে এসেছে সিকান্দার রাজার অনেক অজানা গল্প। নিজের মুুুুুখেই সেসব বলেছেন রাজা।

সাক্ষাৎকারে রাজা বলেন, ‘যখন পাকিস্তানে থাকতাম, তখন কখনো ক্রিকেট খেলব বলেই ভাবিনি। এখন যখন সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি, তখন এই চিন্তা আসবে কেন? এটা আমি আগেও বলেছি। ক্রিকেট হওয়ার জন্য আমি পাকিস্তান ছাড়িনি। আমার লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বিমানের পাইলট হবো। কিন্তু সেটা আমি পারিনি।’

পাকিস্তানে থাকতেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা সিকান্দার রাজা, পরিবারের সঙ্গে জিম্বাবুয়েতে চলে আসার পর! ব্যস্ত ছিলেন নিজের পড়াশুনা নিয়েই৷ করতে চেয়েছিলেন মাস্টার্স। তবে সেই সময় সুযোগ আসে ক্রিকেট খেলার। সুযোগ কাজে লাগিয়ে, অল্প সময়েই চলে আসেন জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলেও। এরপরের গল্পটা অজানা নয় কারো।

আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং করেছি। এরপর আমার পরিবার জিম্বাবুয়েতে চলে এসেছে। ভেবেছিলাম মাস্টার্স করব, সেই সময় আমার সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ আসে। তখন থেকে জিম্বাবুয়ের সাথে আমার ক্রিকেট যাত্রাটা শুরু হয়।’ যোগ করে বলেন রাজা।

 

 

 

-নট আউট/টিএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷