বাইশ গজ ছেড়ে সামলাচ্ছেন বাসের স্টিয়ারিং, নেপথ্যে জীবন পরিচালনা
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২ ১৮:২২
নট আউট ডেস্ক: রোমাঞ্চ আর অঘটনের সংমিশ্রণেই মানুষের জীবন৷ অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো কম তবে কারও কারও বেলাতেই এটিই নির্মম বাস্তবতা৷ নতুবা বাইশগজে মুগ্ধতা ছড়িয়ে একটা সময় জীবন পরিচালনার তাগিদে কেন বেঁছে নিতে হবে বাসের স্টিয়ারিং৷ রূপকথা কিংবা নিছক স্বপ্ন মনে হলেও হতে পারে৷ তবে জীবনের গতিপথ বদলে যেতে ১ সেকেন্ডও অনেক বেশি হয়ে যায় মাঝে মধ্যে৷
সালটা ২০০৯, শ্রীলংকান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুলারিধরণ যখন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়ে তখন জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি অফ স্পিনার সুরাজ রনদিভের৷ শ্রীলঙ্কার এই স্পিনারের প্রথমে নাম ছিল মহম্মদ মারশুক মহম্মর সুরজ। পরবর্তীতে নিজের ধর্ম এবং নাম পরিবর্তন করে তিনি।
বল হাতে বাজিমাত করেই জায়গা করে নিয়েছিলেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ দলে৷ ছিলেন ফাইনাল ম্যাচ খেলাদের একজন৷ বল হাতে ৯ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৩ দিন৷ অবশ্য উইকেট পায়নি সে যাত্রায়৷ এছাড়াও এই বোলার ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির সতীর্থ৷ আইপিএলের ২০১১-১২ মৌসুমে রনদিভ খেলেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে৷
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১২ টেস্ট, ৩১ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি খেলে রনদিভ নিয়েছিলেন ৮৬ উইকেট৷ যেখানে টেস্টে ৪৩টি, ওয়ানডেতে ৩৬টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭টি৷ ওয়ানডে ও টেস্টে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন এক বার করে৷ এছাড়াও এই সময়ে ব্যাট হাতে করেছেন ৪৩৫ রান৷
ক্রিকেটের বাইশ গজে রনদিভের পদচারণ মাত্র ছয় বছর৷ প্রতিভা ও সামর্থ্য অনুযায়ী যা খুবই কম৷ ২০১৬ সালে বিদায় জানান ক্রিকেটকে৷ নেপথ্যে মূল কারন ছিল ইনজুরি৷ এরপর ক্রিকেটের সাথে সমস্ত সম্পর্ক গুটিয়ে নিয়ে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়াতে৷ যেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং জীবন পরিচালনার তাগিদে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফ্রান্স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি ট্রান্সডেভে বাস ড্রাইভার হিসেবে পরবর্তী কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানেও একই পেশায় জড়িত তিনি৷
রনদিভের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার যেমন ছয় বছরের তেমনি এ পেশাতেও তিনি কাটি দিচ্ছেন ছয় বছর৷ প্রচলিত এবং বাস্তব চিত্রে দেখা যায় ক্রিকেটারদের টাকার নেই অভাব৷ বিদেশী লিগ খেলতে পারলে জীবন আরও নিশ্চিত৷ তবে রনদিভের বেলাতে হয়নি সেটা৷ রনদিভের মতই অস্ট্রেলিয়ায় বাস চালানোর কাজ বেছে নিয়েছেন আরও দুই ক্রিকেটার। তারা হলেন শ্রীলঙ্কান চিন্থাকা জয়সুরিয়া এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার ওয়াডিংটন মাওয়ায়েঙ্গা।
-নট আউট/এমআরএস
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।
হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।
‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: