ঢাকা | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

ভার‍তের ইটের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পাটকেল!

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২ ০৯:৪৫

দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭ উইকেটে। ছবি: গেটি ইমেজ দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৭ উইকেটে। ছবি: গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ দলের তিন তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও জাসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্রাম দিয়েই, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছিল ভারত। তবে মাঠের খেলায় তারকা ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতি খুব একটা টের পেতেও দেননি ইশান কৃষান, হার্দিক পান্ডিয়ারা। 

ইনিংসের শুরুটা যেখানে করেছিলেন ইশান, ঠিক শেষটাই সেখানে করেন পান্ডিয়া। আর তাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান পাহাড়ে চড়ে বসে স্বাগতিকরা। কঠিন টার্গেট, ওভারপ্রতি ১০ এর বেশি রান। ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণভাগের সামনে রান তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু দুই প্রোটিয়া ব্যাটার ভ্যান ডার ডুসেন ও কিলার মিলারের ঝড়ে, রিতীমত দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। যেন ভার‍তের ইটের জবাবে পাটকেল ছুড়ল প্রোটিয়ারা। তাতেই টানা ১২ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর হারের স্বাদ পেল ভারত।

নয়া দিল্লিতে এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে, দুই ওপেনার রুতুরাজ গাইকোয়াদ ও ঈশান কৃষানের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে দু'জন মিলে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। ২৩ রান করা রুতুরাজের বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের জোট। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান ঈশান। দ্বিতীয় উইকেটেও এই দু'জন গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। 

হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইশান। বিধ্বংসী ইনিংস খেলা ভারতীয় এই ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে স্বস্তি ফেরান কেশব মহারাজ। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৬ রান করে ফিরেন ইশান কৃষান। দলীয় দেড় শ পার করতেই ব্যাক্তিগত ৩৬ রানে ফিরেন শ্রেয়াস আইয়ারও। শেষ দিকে ঝড় তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পান্থ ও হার্ডিক পান্ডিয়া। তাতেই রান পাহাড়ে চড়ে ভারত।

২টি করে চার ও ছক্কায় ১৬ বলে ২৯ করে পান্থ ইনিংসের শেষ ওভারে ফিরলেও, ১২ বলে অপরাজিত ঝড়ো ৩১ রানের (২ চার ও ৩ ছক্কা) ইনিংস খেলে দলকে রান পাহাড়ে তোলেন পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত।

কঠিন টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই টেম্বা ভাবুমার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। তবে দলীয় ৬১ রানে ২৯ করা প্রিটোরিয়াসের বিদায়ের পর, দলীয় ৮১ রানে ব্যাক্তিগত ২২ রানে কক ফিরলে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর চর্তুথ উইকেটে হাল ধরেন ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার।

ডুসেন এক প্রান্ত আগলে রান তুললেও, অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মিলার। তাতেই জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু'জন মিলে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে দলকে রাখেন কক্ষপথেই। এদিন ভারতীয় বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে মাত্র ২২ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিলার! তাতেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ডুসেনকে নিয়ে মিলার গড়েন শতাধিক রানের জোট। 

হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডুসেনও। শেষ দিকে জয়ের জন্য তিন ওভারে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। ভুবনেশ্বরের করা ১৮তম ওভারে ২১ রান তোলার পর, হার্শালের ১৯তম ওভারে ৮ রান তুলে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। 

ভ্যান ডার ডুসেন ও মিলারের অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রানের জুটিতে, ৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছে ডুসেন। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩১ বকে ঝড়ো ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন মিলার।

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷