ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের সেঞ্চুরির পরও পিছিয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২২ ০৮:৪১

দারুণ এক সেঞ্চুরি করার পথে রানের জন্য দৌড়াচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ছবি: গেটি ইমেজ দারুণ এক সেঞ্চুরি করার পথে রানের জন্য দৌড়াচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ছবি: গেটি ইমেজ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট: ডারবানে মাহমুদুল হান জয়ের মহাকাব্যিক এক ইনিংসের পরও তৃতীয় দিন শেষে লিড নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬ রান। এর আগে প্রথম ইনিংসে জয়ের ঐতিহাসিক এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রানে অলআউট হয়।

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা স্মরণীয় করেই রাখলেন জয়। ১৩৭ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন এই  টাইগার ওপেনার। আর এক সেঞ্চুরিতে অনেক ‘প্রথম’ এর খাতায় নাম লিখেয়েছেন জয়। টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন। সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ৩২৬ বল। এখানেও এক বিরল রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। প্রথম কোনো এশিয়ান ওপেনার ব্যাটার হিসেবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলেছেন দুইশ’রও বেশি বল। আর তার ১৩৭ রানের ইনিংটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এশিয়ান ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন আগের দিনে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা জয় ও নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা তাসকিন। দিনের শুরুতেই ১ রান করে তাসকিন আউট হন । ১০১ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফলো-অনের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি জয় ও লিটন দাস সেই শঙ্কা দূর করে দেন। জয় ১৭০ বলে টেস্টে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। অন্যদিকে দারুণ ছন্দে থাকা লিটনও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। তবে ব্যক্তিগত ১৬ রানের সময় লিটনের ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন এলগার।

এরপর অবশ্য সাবধানে ব্যাটিং করে প্রথম সেশনটার বেশ ভালো করে পার করে দেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিটা পঞ্চাশ ছাড়ায়। ৫ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়ে মধ্যহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর অবশ্য শুরটা ভালো জয়নি বাংলাদেশের। দারুণ খেলতে থাকা লিটন ৯২ বলে ৪১ রান করে বোল্ড আউট হলে ভাঙ্গে ৮২ রানের জুটি।

ইয়াসির রাব্বি দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন জয়কে। কিন্তু দলীয় ২১৬ রানে ভুল বোঝাবুঝিতে ২২ রান করে রাব্বি রান আউট হন। মেহেদী হাসান মিরাজও জয়কে দারুণ সঙ্গ দেন। এই সুযোগে জয়ও সেঞ্চুরির কাছে চলে যান। শেষ পর্যন্ত ২৬৯ বলে জয় টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি তুলে নেন। মিরাজ ৮১ বলে ২৯ রান করে দলীয় ২৬৭ রানে আইট হলে ভাঙ্গে ৫১ রানের অষ্টম উইকেট জুটি। এরপর খালেদ ০ রান করে আউট হন। বাংলাদেশের বাকি ইনিংসটুকু একাই টেনে নেন জয়। শেষ ব্যাটার হিসেবে উইলিয়ামসের বলে যখন জয়ের নামের পাশে ৩২৬ বলে ১৩৭ রান। বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৯৮ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বিনা উইকেট ৬ রান তোলার পর আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আবার খানিকক্ষণ বৃষ্টি হানা দেয়। বৃষ্টি থেমে গেলেও আলো স্বল্পতায় খেলা শুরু করা না গেলে আম্পায়া দিনের খেলারি সমাপ্তির ঘোষণা করে।

 

-নট আউট/আরএ  



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷