ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এক নজরে এশিয়া কাপের ১৪ আসর

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২২ ০৩:৫৫

এশিয়া কাপ। ছবি সংগৃহীত এশিয়া কাপ। ছবি সংগৃহীত

চলতি মাসের ২৭ তারিখ শুরু হবে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ের মঞ্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিগত ১৪ আসরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এক নজরে দেখে নেয়া যাক। 

সালটা ১৯৮৩, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছিল এশীয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এই এসিসির অধীনে পরেরবছর অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয় এশিয়া কাপ ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে নিয়ে শুরু হওয়া এই টূর্ণামেন্টে ১৯৮৬ সালে ভারত ও ১৯৯০-৯১ মৌসুমে পাকিস্তান অংশগ্রহন করেনি। শ্রীলংকা একমাত্র দল যারা প্রতিটি আসরে নিজেদের যুক্ত রেখেছে। এশিয়া কাপ ইতিহাসে সর্বাধিক সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শ্রীলংকা পাঁচবার এবং পাকিস্তান দুই আসরে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। শুরুর দিকে এক আসর থেকে আরেক আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলেও ২০০৮ সাল থেকে এসিসির ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পরপর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 


১ম আসর- এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু হয়েছিল শ্রীলংকা-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে। ১৯৮৪ সালের ৬ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের প্রথম আসরে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সম্প্রচারস্বত্বজনিত কারনে প্রথম আসরটি রথম্যান্স এশিয়া কাপ নামেও অধিক পরিচিত। এ আসরে ১০৭ রান নিয়ে সেরা খেলোয়াড় ও সর্বাধিক রানের পুরস্কার লাভ করেন ভারতের সুরিন্দর খান্না। চার উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন রবী শাস্ত্রী।


দ্বিতীয় আসর- ১৯৮৬ সালে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়। ৬ এপ্রিল সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক শ্রীলংকা। ৪৫ ওভারের ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের টার্গেটে ৪২.২ ওভারে ১৯৫ রান করে শ্রীলংকা। ৬৭ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিল পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। আসর সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন স্বাগতিক দেশের অর্জুনা রানাতুঙ্গা। এছাড়াও ১০৫ রান নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আসরে ৯ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হয়েছিলেন পাকিস্তানের আব্দুল কাদির। এ আসরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যেমন এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু হয়েছিল,তেমনি শ্রীলংকার সাথে আন্তরীকতাহীন সম্পর্কের কারনে অংশ নেয়নি ভারত। এই আসরটি জন গোল্ডলিপ ট্রফি নামে পরিচিত।


তৃতীয় আসর- ১৯৮৮ সালে এশিয়া কাপের তৃতীয় আসর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। যা ছিল এদেশে আয়োজিত প্রথম কোন বহুজাতিক টূর্ণামেন্ট। সে আসরে শ্রীলংকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার দেওয়া ১৭৭ রানের টার্গেট ছয় উইকেট হাতে রেখে পূরণ করে ভারত। ৭৬ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে ম্যাচ সেরা হওয়ার পাশাপাশি টূর্ণামেন্ট সেরা হয়েছিলেন নভোজাত সিধু। ৯ উইকেট নিয়ে আসরের সেরা বোলার হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য আরশাদ আইয়ুব। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন পাকিস্তানের ইজাজ আহমেদ। তিনি করেছিলেন ১৯২ রান।


চতুর্থ আসর- ১৯৯০-৯১ মৌসুমে এশিয়া কাপের চতুর্থ আসর ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এ আসরে পাকিস্তান নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে। মূলত রাজনৈতিক দ্বৈরথার কারনে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নিজেদের দেশে আয়োজিত এশিয়া কাপে তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ১৯৯১ সালের ৪ জানুয়ারি ফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলংকার দেওয়া ২০৪ রানের টার্গেট সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ৯৫ ও মোহাম্মদ আজাহারউদ্দীনের ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত জয় পায় ৭ উইকেটে। ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছিল মোহাম্মদ আজাহারউদ্দীন। ১৬৬ রান নিয়ে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে ছিলেন শ্রীলংকার অর্জুনা রানাতুঙ্গা। সে আসরে ৯ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হয়েছিলেন ভারতের কপিল দেব। এশিয়া কাপের একমাত্র আসর যেটিতে আসর সেরার কোন পুরস্কার ছিল না।


পঞ্চম আসর- ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানে এশিয়া কাপের পঞ্চম আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক জটিলতার কারনে সেবছর বন্ধ ছিল এই টূর্ণামেন্ট। পিছিয়ে যাওয়া আসরটি দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৫ সারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের নভোজান সিধু, শচীন টেন্ডুলকার, অনিল কুম্বলের টূর্ণামেন্ট সেরা ও ফাইনালে মোহাম্মদ আজাহারউদ্দীনের ম্যাচ সেরা হওয়ার আসরে টানা তৃতীয়বারসহ মোট চারবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ১৪ এপ্রিল ফাইনালে শারজা অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় ভারত।


ষষ্ঠ আসর- ১৯৯৭ শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এবং এশিয়া কাপের ষষ্ঠ আসরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে স্বাগতিক শ্রীলংকা। ২৬ জুলাই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারকে ৮ উইকেটে হারিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে স্বাগতিকরা। ফাইনালে ভারতের দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেট ৩৬ দশমিক ৫ ওভারে পূরণ করে দলটি। ব্যাট হাতে ভারতকে হতাশ করার কারিগর এমএস আতাপাত্তু ৮৪ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়। সেই আসরেও ২৭২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পাশাপাশি টূর্ণামেন্ট সেরা হয়েছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। সে আসরে ৭ উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন ভারতের ভেঙ্কটেশ প্রাসাদ।


সপ্তম আসর- ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মত এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। যা ছিল টূর্ণামেন্টের সপ্তম আসর। সে আসরে ভারত-শ্রীলংকার টানা সফলতার সংসারে ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে পাকিস্তান। ৭ জুন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে মঈন খানের ম্যাচ সেরা ৫৬ রানের ইনিংসে শ্রীলংকাকে ৩৯ রানে হারায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেওয়া ২৭৮ রানের টার্গেটে শ্রীলংকা অলআউটপ হয় ২৩৮ রানে। সেই আসরে ২৯৫ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ইউসুফ ইউয়ানা। এছাড়াও এই ব্যাটার নির্বাচিত হয়েছিলেন আসর সেরা খেলোয়াড়। পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সেই আসরের সেরা বোলার। বল হাতে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।


টানা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের জয়-পরাজয়ের গল্প শুনতে শুনতে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে বিরক্তি কিংবা অবসাদ। তাই আলোচনার মাঝে যোগ করা যাক একই ধরনের ভিন্ন কিছু। এশিয়া কাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শ্রীলংকার সনাথ জয়সুরিয়া। ব্যাট হাতে করেছেন ১২২০ রান। বোলারদের মধ্যে ৩৩ উইকেট নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। এক আসরে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছেন সনাথ জয়সুরিয়া। নবম আসরে এই ব্যাটার করেন ৩৭৮ রান। একই আসরে ১৭ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত সবার উপরে রয়েছেন অজন্তা মেন্ডিস। এই টূর্ণামেন্টে শিরোপার বিচারে শ্রীলংকা দুই নাম্বারে থাকলেও ম্যাচ জয়ের বিচারে সবার উপরেই। এখন পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে দলটি। এশিয়া কাপ সবচেয়ে বেশিবার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সংখ্যার হিসেবে যা পাঁচবার।

অষ্টম আসর- ২০০৪ সালে নিজেদের মাটিতে এশিয়া কাপের অষ্টম আসর আয়োজন করে শ্রীলংকা। এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরাই। আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১ অগাষ্টের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ২৫ রানের জয় পায় দলটি। শ্রীলংকার দেওয়া ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত শেষ অবধি করেছিল ২০৩ রান। ব্যক্তিগত ৬৫ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয় মারভান আতাপাত্তু। সে আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। এই ডানহাতি ব্যাটার করেছিলেন ৩১৬ রান। তবে টূর্ণামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিল সনাথ জয়সুরিয়া। অপরদিকে ভারতের ইরফান পাঠান হয়েছিলেন সে আসরে সেরা বোলার। পুরো আসরে নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। এই আসরে প্রথমবারের মত হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশগ্রহন করে। এছাড়াও এই আসর বাংলাদেশের জন্য রোমাঞ্চের। এশিয়া কাপে প্রথম বাংলাদেশের প্রথম জয় এসেছিল এই আসরে।


নবম আসর- ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানে। যা ছিল দেশটিতে প্রথম। শ্রীলংকার মাটিতে শ্রীলংকা এবং ভারতের মাটিতে ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও স্বাগতিক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। করাচী স্টেডিয়ামে ৬ জুলাইয়ের ফাইনালে ভারতকে ১০০ রানে হারিয়ে টূর্ণামেন্ট সেরা দল হয়েছিল শ্রীলংকা। শ্রীলংকার করা ২৭৩ রানের বিপরীতে ভারত অলআউট হয় ১৭৩ রানে। বল হাতে ১৩ রান খরচে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শ্রীলংকার অজন্তা মেন্ডিস। এছাড়াও পুরো টূর্ণামেন্টে ১৭ উইকেট নিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এমন কীর্তির পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন আসর সেরার খেতাব। আসর জুড়ে ৩৭৮ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন সনাথ জয়সুরিয়া।


দশম আসর- ২০১০ সালে দশম আসরে চ্যাম্পিয়ন পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২৪ জুন শ্রীলংকা রণগিরি দাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতের দেওয়া ২৬৯ রান তাড়া করতে নেমে ১৮৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ফলে ৮১ রানের জয় পায় ভারত। ফাইনালে ৬৫ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। বুম বুম খ্যাত পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ২৬৫ রান নিয়ে হয়েছিলেন ব্যাটারদের সেরা। একই সাথে আসর সেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও নিজের করে নিয়েছিলেন আফ্রিদি। আসরে ৯ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা।

১১তম আসর- ২০১২ সালের এশিয়া কাপের এগারো তম আসরে নিশ্বাস দূরত্ব থেকে শিরোপার স্বাদ না পাওয়া দলটির নাম বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে বাংলাদেশ হেরেছিল মাত্র দুই রানে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশ করে ২৩৪ রান। ম্যাচে ৩২ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। সেবার ২৩৭ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিজের করে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ভারতের বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৩৫৭ রান। বোলারদের মধ্যে ৯ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছিলেন পাক বোলার উমর গুল।


১২তম আসর- ২০১৪ সালে ১২তম আসরে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলংকা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেওয়া ২৬১ রানের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় দলটি। ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। পুরো আসরে ব্যাট হাতে ২৭৯ রান সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন শ্রীলংকার লাহিরু থিরিমানে। পাকিস্তানের সাইদ আজমল ও শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা ১১ উইকেট করে পেলেও এক ম্যাচ কম খেলায় আসর সেরা বোলার হয়েছিলেন মালিঙ্গা। এই আসরে আফগানিস্তান প্রথমবার অংশগ্রহন করে।


১৩তম আসর- ২০১৬ সালে টানা তৃতীয়বারের মত এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের একমাত্র আসর যেটি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের মত এ আসরের শেষটা হতাশার হয়েছে স্বাগতিকদের। পুরো আসরে প্রভাব বিস্তার করে ফাইনালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হারলেও লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ১৫ ওভারের ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১২০ রান ১৩ দশমিক ৫ বলে সম্পূর্ণ করে ভারত। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ভারতের শিখর ধাওয়ান। আসরে ১৭৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি আসর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন সাব্বির রহমান। সেই আসরে বল হাতে ১১ উইকেট নিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে সেরা বোলারের পুরস্কার নিজের করেছিলেন বাংলাদেশের আল আমিন হোসেন।

 

১৪তম আসর- এশিয়া কাপের ১৪তম আসর অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। সে আসরেও ফাইনাল শেষে বিজয়ের উল্লাস করতে পারেনি। ফাইনালে ভারতের কাছে ৩ উইকেটের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এই ব-দ্বীপের সকল মানুষের। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশর করা ২২২ রানের বিপরীতে ভারত সাত উইকেট হারিয়ে করে ২২৩ রান। ১২১ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিল লিটন কুমার দাস। ৩৪২ রান নিয়ে সে আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিল ভারতের শিখর ধাওয়ান। আফগানিস্তানের রশিদ খান, ভারতের কুলদ্বীব জাদব ও বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়েছিলেন সমান সংখ্যক ১০টি করে উইকেট।



 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

আরব আমিরাতকে হারিয়ে আপসেটের জন্ম দিলো কুয়েত

ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে, আরব আমিরাতকে ১ উইকেটে হার...

এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করলো আয়োজক শ্রীলংকা

এশিয়া কাপের ১৫তম আসরে ২০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড

এশিয়া কাপের দল ঘোষণা আফগানিস্তানের

মোহাম্মদ নবীকে অধিনায়ক করে, এশিয়া কাপের দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ রশিদ খান, নাজিবুল্লাহ জাদরা...