ঢাকা | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

ডি ককের ব্যাটে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের দিল্লি

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২২ ১০:১৫

৫২ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডি কক। ছবি: আইপিএল ৫২ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডি কক। ছবি: আইপিএল

নট আউট ডেস্কঃ আগের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেও, দল হারায় দিল্লির জার্সিতে অভিষেকটা সুখকর হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানের। দারুণ বোলিংয়ের কারণে অবশ্য ম্যাচ শেষে দলটির হেড কোচ রিকি পন্টিংয়ের থেকে স্পেশাল পুরষ্কার পেয়েছিলেন ফিজ। আর তাতেই কিনা বাংলার এই পেসার জ্বলে উঠলেন তেলেবেগুনে। নবাগত লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচে, ডি কক যেখানে পাত্তায় দিলেন না দিল্লির বাকি বোলারদের! সেখানে ফিজ কড়ায়গণ্ডায় আদায় করে নিয়েছিলেন সমীহ। 

প্রথম ম্যাচের ফর্মটা এদিনও মুস্তাফিজ এনেছিলে টেনে। তবে শেষটায় আর নিজেকে পারেননি ধরে রাখতে। দলও তাই হেরেছে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে দিল্লি এদিন সংগ্রহ করে ১৪৯ রান, জবাবে ডি ককের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ লক্ষ্যই আরো সহজ বানিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। তবে শেষ দিকে দিল্লির নিয়ন্ত্রিত বোলিং আশা দেখালেও, শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের জয়ে আসরে তৃতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

টস হেরে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও উদ্বোধনী জুটির সিংহ বাগ রান এসেছে পৃথ্বী শ'র ব্যাট থেকেই। মাত্র ৩০ বলেই এই ওপেনার তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৬১ রানে ফিরেন পৃথ্বী শ। এরপর জোড়া আঘাত হানেন রবি বিষ্ণুয়।

ফেরান চলতি আইপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা ডেভিড ওয়ার্নার (৪) ও রভম্যান পাওয়েলকে (৩)। দ্রুত তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে দিল্লি। এরপর সেই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ঋষভ পান্থ ও সরফরাজ খান। তবে লক্ষ্ণৌর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দু'জনের কেউই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। 

শেষ পর্যন্ত দিল্লি আর কোন উইকেট না হারালেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে থামে মাত্র ১৪৯ রানে। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে পান্থ করেন ৩৯ রান। ৩ চারে ২৮ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন সরফরাজ খান।

ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই লক্ষ্ণৌ ওপেনার ডি কক এবং লোকেশ রাহুল। বাকি বোলারদের পিটিয়ে রান উৎসব করলেও, মুস্তাফিজকে বেশ ভালোই সমীহ করেন এই দুই ওপেনার। নিজের ব্যাক্তিগত প্রথম ওভারে এসে ৫ রান খরচ করা মুস্তাফিজ, দ্বিতীয় ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। তবে বোলাররা দেদারসে রান বিলিয়ে ম্যাচটাই নিয়ে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

দলীয় ৭৩ রানে রাহুলের বিদায়ে ভাঙে লক্ষ্ণৌর উদ্বোধনী জুটি। ২৪ রানে রাহুল ফিরলেও, ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। তিনে নামা এভিন লুইসও ফিরে দ্রুত। তবে এদিন ডি কক ছিলেন চেনা ছন্দে। দিল্লির বাকি বোলারদের পাত্তা না দিয়েই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে শেষ দিকে ললিত যাদবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ফের ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে দিল্লি। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে এই স্পিনার। 

এরপর সেঞ্চুরির পথে হাঁটা ডি কককে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন কুলদ্বীপ যাদব। ম্যাচে এই লেগির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ডি কক ফিরেন ব্যাক্তিগত ৮০ রানে (৯ চার ও ২ ছক্কায়)। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে লক্ষ্ণৌর প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মুস্তাফিজ মাত্র খরচ করেন ৪ রান। আর তাতেই জয়ের জন্য লক্ষ্ণৌর সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩ ওভারে ২৪ রান।

১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শার্দুল ঠাকুর খরচ করেন মোটে ৫ রান। এতেই জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে থালে দিল্লির। তবে ১৯তম ওভারে এসে নিজের ব্যাক্তিগত চর্তুথ ওভারে খেই হারিয়ে ফেলেন মুস্তাফিজ। খরচ করেন ১৪ রান, আর তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দলটির প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ওভারের প্রথম বলে শার্দুল ঠাকুর ফেরান দীপক হুডাকে। তবে এরপর নেমেই চার ও ছক্কায় ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্ণৌকে জয় উপহার দেন আইপিএলের এবারের আসরের 'হট কেক’ আয়ুশ বাদেনী। ক্রুনাল পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ থাকেন উইকেটশূন্য। দুই উইকেট শিকার কুলদ্বীপের।

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

লিটনের পর সাকিবের ঠিকানা কলকাতায়

লিটন দাসের পর দ্বিতীয় ধাপে দল পেলেন টাইগার তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ভিত্তিমূল...

আইপিএলে দল পেলেন লিটন দাস

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দল পেলেন টাইগার তারকা ব্যাটার লিটন দাস। প্রথম দফায় অ...

আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশের ‘৪’

দেশী-বিদেশী সর্বমোট ৯৯১ জন ক্রিকেটার করেছিলেন নিবন্ধন। যার মধ্যে ছিল ৬ বাংলাদেশী ক্রি...