ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ওয়ার্নারের ‘১’ রানের আক্ষেপ, সিরিজ হার অজিদের

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২ ০৯:৫৭

৯৯ রানে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ছবি: গেটি ইমেজ ৯৯ রানে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ছবি: গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ জিতলেই সিরিজে সমতা, হারলেই নিশ্চিত সিরিজ হার। লঙ্কনাদের বিপক্ষে চর্তুথ ওয়ানডে ছিল তাই অজিদের বাঁচা মরার। ওয়ার্নারের ব্যাটে ম্যাচটা ছিল অজিদের হাতের নাগালেই। দুর্দান্ত ব্যাটিং এই অজি ওপেনারও ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু মাত্র ১ রানের আক্ষেপ। নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়ে ওয়ার্নার ফিরেন ব্যাক্তিগত ৯৯ রানে। তাতেই হাত থেকে ফসকে যাওয়া ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। 

শেষ দিকে প্যাট কামিন্স একা লড়াই চালালেও, হয়নি শেষ রক্ষা। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অজিরা থামে জয় থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে। এদিন লঙ্কানদের করা ২৫৮ রানের জবাবে, শেষ বলে গুটিয়ে যাওয়ার আগে অজিরা তুলতে পারে ২৫৪ রান। ৪ রানের নাটকীয় জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-১ জিতে নিলো স্বাগতিকরা। ফলে, দীর্ঘ ৩০ বছর পর ঘরের মাটিতে অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতার কীর্তি গড়লো দাসুন শানাকার দল।

বাঁচা মরার ম্যাচে, লঙ্কানদের দেওয়া ২৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই ফিরেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর মিচেল মার্শকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেটে এই দু'জনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় অজিরা। দু'জন মিলে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। ২৬ রান করা মার্শের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর ল্যাবুশেনকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহটা একশ পার করান ওয়ার্নার। এই ওপেনার তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। 

১৪ রান করা ল্যাবুশেনের বিদায়ের পর ১৯ রানে ফিরেন অ্যালেক্স ক্যারি। তাতেই দলীয় ১৩১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে কিছুটা চাপে পড়ে অজিরা। পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। দুজনের শক্ত প্রতিরোধে ক্রমশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে ওয়ার্নার-হেড গড়ে ফেলেন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। তাতেই জয়ের পথটা সুগম হয়ে যায় অজিদের।

এরপরেই দৃশ্যপটে আসেন লঙ্কান বোলাররা। দারুণ খেলতে থাকা ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩ চারে ৩৩ বলে ২৭ রানে ফিরেন তিনি। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান থিকসিনা। হেড-ম্যাক্সওয়েল বিদায় নিলেও, সেঞ্চুরি দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়ার্নারে তখনও জ্বলছিল অজিদের আশার মশাল। ৯৯ রানে ব্যাট করতে থাকা ওয়ার্নার এরপর হারিয়ে বসেন খেই। তাতেই এই ওপেনারকে বোকা বানান ধনাঞ্জয়া। ১২ চারে ১১২ বলে ৯৯ রানে ফিরেন ওয়ার্নার। 

পরপর তিন ওভারে দলের তিন ব্যাটিং স্তম্ভের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অজিরা। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স লড়াই চালিয়েছেন একাই। তবে, ততক্ষণে ম্যাচ থেকে অনেক দূরে সরে যায় অজিরা। ৩৫ রান করা কামিন্সকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন করুনারত্নে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে অজিদের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান।

দাসুন শানাকার করা ওই ওভারের, প্রথম ৫ বলেই তিন চারে ১৪ রান তুলে ফেলেন অজি স্পিনার ম্যাথু কুম্যান। তাতেই ম্যাচে মোড় নেয় নতুন নাটকীয়তা। তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি অবিশ্বাস্য কিছু। শেষ বলে অজিদের জিততে ৫ রান প্রয়োজন থাকলেও, আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কুম্যান। তাতেই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পায় শ্রীলঙ্কা।

এর আগে টস হেরে আসালাঙ্কার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে, সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পাওয়ার দিনে আসালাঙ্কা খেলেন ১১০ রানে ইনিংস। বাগিয়ে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটিও। এছাড়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন হাসারাঙ্গা। অজিদের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ম্যাথু কুম্যান, কামিন্স ও মার্শ।

 

 

-নট আউট/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷