ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মরণ-বাঁচন ম্যাচ জিতে সমতায় ভারত, সিরিজ ফয়সালা রবিবার

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২২ ১৭:৩৫

দিনেশ কার্তিক৷ ছবি সংগৃহীত দিনেশ কার্তিক৷ ছবি সংগৃহীত

নট আউট ডেস্ক: আফ্রিকার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের শুরুতেই হোচট খেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল৷ ইনজুরি যেমন ছিটকে পড়েছিলেন রাহুল, তেমনি হেরেছিল দুই ম্যাচ৷ এরপর অবশ্য জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি৷ শুক্রবার রাজকোটে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের ৮২ রানে হারিয়ে সমতা আনে ভারত৷ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ রবিবার৷ বেঙ্গালুরুতে সিরিজের ফয়সালা হবে নিশ্চিতভাবেই৷

সিরিজে চার ম্যাচেই টস হেরেছেন রিষব পন্থ৷ প্রথমে ব্যাটিং করে করতে হয় আরেকবার৷ এই জয়ের পিছনে মূল কারিগর যদি কেউ থাকেন, তা হলে নিঃসন্দেহে দীনেশ কার্তিক। যোগ্য সঙ্গত দিলেন হার্দিক পাণ্ড্যও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না, জানা নেই। তবে শুক্রবার কার্তিক যে ইনিংসটা খেললেন, তাতে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে তিনি না উঠলেই অবাক হতে হবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হোক বা জাতীয় দল, কার্তিক ক্রমশ ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হয়ে উঠছেন। প্রথমে ব্যাট করে দল বিপদে পড়েছে? তিনি নেমে মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিলেন। দল রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়েছে? কার্তিক আবার মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিলেন।

এ দিন তাঁকে প্রথম ভূমিকায় দেখা গেল। ভারতের অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। পন্থ ওই রকম স্কুলছাত্রের মতো শট খেলে আউট হওয়ার পর হার্দিকের সঙ্গে কাউকে জুটি বাধতেই হত। সেই কাজটা কার্তিকই করলেন। ক্রিজে এসেই দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের শাসন করে চাপে রাখতে শুরু করলেন। সতীর্থকে দেখে হাত খুললেন হার্দিকও। দু’জনের জুটিতে ৬৫ রান। ওই সময়ে এই জুটি ত্রাতা না হলে ভারতের রান দেড়শো পেরোত কি না সন্দেহ। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে সপাটে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করে কার্তিক আউট হলেন বটে। তবে দল ততক্ষণে ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।

ভারত বিপদে পড়েছিল শুরু থেকেই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫) দলের ১৩ রানের মাথায় ফিরে যান। শ্রেয়স আয়ারও (৪) টিকতে পারেননি। পন্থ এসে কিছুটা সামাল দিয়েছিলেন হার্দিকের সঙ্গে। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে আউট হওয়া কে আটকাবে? রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কোচকে সামনে পেয়েও পন্থ যে কী শিখেছেন, সেটা তিনিই ভাল মনে করতে পারবেন। দ্রাবিড়ের ক্রিকেটবুকে নিঃসন্দেহে এ রকম কোনও শটের জায়গা নেই। কোনও দিন ছিল না। থাকবেও না। পন্থ সেটা তাড়াতাড়ি বুঝলে তাঁরই ভাল।

নিজের উইকেট রক্ষায় আদৌ মনযোগী উইকেটরক্ষক ঋষভ? আউটের ধরনে প্রশ্ন
দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিংয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক। চোট কাটিয়ে প্রথম একাদশে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। তবে ব্যাটে রান এল না। ১৪ রানেই ফিরলেন। অবশ্য তার আগেই বাভুমাকে চোটের কারণে ইনিংসের মাঝপথেই আহত অবসৃত হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের (০) খারাপ ছন্দ অব্যাহত এই ম্যাচেও। এমনকি, দ্বিতীয় ম্যাচে ঝড় তোলা হেনরিখ ক্লাসেনকেও ফিরতে হল ৮ রান করে। ভরসা ছিলেন ডেভিড মিলার। তাঁকে দুর্দান্ত বলে ফেরালেন হর্ষল পটেল। হর্ষলের বলে বেশ ভালই গতি ছিল। লাইন বুঝতেই পারেননি অভিজ্ঞ মিলার। আড়াআড়ি ব্যাট চালাতে গেলেন। বল ব্যাট এবং প্যাডের মাঝ দিয়ে গলে উইকেট ভেঙে দিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ব্যাটারের পক্ষে এই ম্যাচ বের করা সম্ভব ছিল না। সেটা সম্ভবও হয়নি। আবেশ খান চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট পেয়েছেন।

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷