ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বেয়ারেস্টো-স্টোকসের মুনশিয়ানায় সিরিজ ইংল্যান্ডের

নট আউট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২ ০৯:৪২

দ্য ফ্যান্টাস্টিক বেয়ারেস্টো। ছবি: গেটি ইমেজ দ্য ফ্যান্টাস্টিক বেয়ারেস্টো। ছবি: গেটি ইমেজ

নট আউট ডেস্কঃ বোলারদের নৈপুণ্যে কিউইদের লিডটা তিনশো পার করার আগেই আটকে দেয় ইংলিশরা। তাই ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট জিততে স্বাগতিকদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৯৯ রানে। দিনের খেলা বাকি ছিল তখনও ৭২ ওভার। কাজটা ইংলিশদের জন্য অসম্ভব  না হলেও, পথটা ছিল ভঙ্গুর। 

কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, দলীয় একশ পার করার আগেই ৪ উইকেট খুইয়ে সেই লক্ষটাই বানিয়ে ফেলে ইংলিশরার আরও কঠিন। তাই নটিংহ্যাম টেস্ট বাঁচাতে ইংলিশদের সামনে দুইটা পথই ছিল খোলা। প্রথমত, অসহায় আত্নসমর্পণ নয়তো সারাদিন মাটি কামড়ে ড্র নিয়ে ফেরা। তবে এরপর রান খরায় ভুগতে থাকা ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারেস্টো যা করে দেখিয়েছেন, তা হয়তো আঁচ করতেও পারেনি ট্রেন্ট ব্রিজে খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা।

আর তাতেই ওয়ানডে মেজাজে রান তুলে, অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে ফিরে ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো বেয়ারেস্টো ফিরে গেলেও, অধিনায়ক বেন স্টোকসের উইনিং শটেই ৫ উইকেটের জয় পায় ইংলিশরা। ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজটা নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা।

এদিন কিউইদের দেওয়া ২৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জ্যাক ক্রোলির উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ওলি পোপকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডে মেজাজে রান তুলতে থাকেন অ্যালেক্স লিস। তবে দলীয় পঞ্চাশ পার করতেই ইংলিশরা হারায় পোপের উইকেট। এরপর দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিস এগুচ্ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির দিকেই। তবে ব্যাক্তিগত ৪৪ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান টিম সাউদি।

দলীয় একশ পার করার আগেই, ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে থাকা জো রুটেরও উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। আর তাতেই বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর প্রতিরোধ গড়েন জনি বেয়ারেস্টো ও বেন স্টোকস। তবে আগের ৯ ইনিংসে একবারও ত্রিশোর্ধ্ব রানের গণ্ডি পার করতে না পারা বেয়ারেস্টোর উপর প্রত্যাশায়া সমর্থকদের ছিল না বিন্দুমাত্র। তাই আশার মশালটা জ্বালিয়ে রাখেন অধিনায়ক বেন স্টোকসই।

চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই এই দু'জন মিলে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। ওয়ানডে মেজাজ ব্যাট করে হাফ সেঞ্চুরির দারপ্রান্তে থেকেই চা বিরতিতে যান রান খরায় ভুগতে থাকা জনি বেয়ারেস্টো। শেষ সেশনে জিততে হলে ইংলিশদের করতে হতো আরও ১৬০ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। বিরতি থেকে ফিরেই ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারেস্টো। এরপর এই ব্যাটার যা করে দেখালেন তা ছিল রীতিমতো অবিশ্বাস্য। 

৫০ থেকে ১০০ রান পর্যন্ত যেতে এই ব্যাটার সময় নেন মাত্র ১৯ মিনিট। খেলেন ২৬ বল। আর তাতেই সমালোচকদের দাঁতভাঙা জবাব দিয়ে বেয়ারেস্টো পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত শতকের দেখা। এতেই জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে ইংলিশরা। ততক্ষণে বেয়ারেস্টো-স্টোকদের জুটিও পেরিয়ে যায় শতাধিক রানের গণ্ডি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও ক্ষান্ত হননি বেয়ারেস্টো। 

কিউই বোলারদের পিটিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। অন্যদিকে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে স্টোকসও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর জয় থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে থাকতে থামে বেয়ারেস্টোর ঝড়। ১৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৯২ বলে ম্যাচ জয়ী ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন এই তারকা ব্যাটার। এরপর বেন ফোকসকে নিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে নৌকা ভিড়ান বেন স্টোকস।  ৭৫ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। ফলে ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজটা নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা।

এর আগে ২২৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করা নিউজিল্যান্ড, দিনের শুরুতেই হারায় ম্যাট হেনরি ও জেমিসনের উইকেট। এরপর দশম উইকেটে দলের হাল ধরেন ট্রেন বোল্ট ও ড্যারিল মিচেল। প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা, মিচেল দ্বিতীয় ইনিংসেও পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তবে ১৭ রান করা বোল্টের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য লিডটা কিউইরা বানিয়ে ফেলে প্রায় তিনশো ছুঁইছুঁই। 

৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৩১ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন ড্যারিল মিচেল। ইংল্যান্ডের পক্ষে তিন উইকেট শিকার করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। জিমি অ্যান্ডারসন ও ম্যাথু পটসের শিকার দুইটি করে উইকেট। 

 

-নট আউট/টিএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান

আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট

জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের

১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷