ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আফ্রিকায় রূপকথার নায়ক হবেন ইবাদত!

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২ ১৯:৫৭

কিউই বধের নায়ক এবাদতের ট্রেডমার্ক 'স্যালুট' সেলিব্রেশন। ফাইল ছবি কিউই বধের নায়ক এবাদতের ট্রেডমার্ক 'স্যালুট' সেলিব্রেশন। ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে ৫ জানুয়ারি অনন্য এক দিন৷ যারা টুকটাক ক্রিকেটের খোঁজ রাখে তারা হয়তো বুঝে গেছে দিনটি কেন দারুন৷ যারা বুঝে ওঠেনি তাদের জন্য খোলাসা করেই বলা যাক৷ চলতি বছরের উল্লেখিত তারিখে প্রথমমবারের মত নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে আল্টিমেট ফরম্যাটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ইতিহাস রচনার অন্যতম নায়ক ছিলেন সেই ম্যাচের পূর্বে বারবার সমালোচিত হওয়া ইবাদত হোসেন৷ 

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের সেই টেস্ট জয় জানান দিয়েছিল- টেস্টেও এখন আর হেলাফেলার দল নয় টাইগাররা।প্রায় তিন মাস পর আবারও যখন অ্যাওয়ে টেস্ট, তখন বাংলাদেশকে প্রেরণা যোগাচ্ছে সেই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের রূপকথা। সেই রূপকথার গল্পের নায়ক এবাদত হোসেন চৌধুরী, বল হাতে যিনি নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। হয়েছিলেন রূপকথার নায়ক৷ 

কিউইদের মাটিতে নায়ক হওয়া ইবাদতের জন্ম মৌলভীবাজারে৷ দেশের টেস্ট ক্রিকেটে ৯৫তম ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী অভিষেক হয় এই পেসারের৷ তবে অভিষেক তো দূরের কথা সুখকর হয়নি অভিষেকের পর প্রায় দুইবছর৷ প্রথম ৯ ম্যাচে ইবাদতের ঝুলিতে সংগ্রহ ছিল মাত্র ৯ উইকেট৷ যা একজন টেস্ট বোলারের ক্ষেত্রে বড্ড বেমানান৷ কিন্তু ইবাদতের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিল কোচ থেকে টিম ম্যানেজম্যান্ট৷ এই আস্থার কারনে প্রায় সমালোচনার তোপে পড়েছিল মানুষগুলো৷ ২০২২ সালের শুরুতে সমালোচনার ইতি টেনে দুই টেস্টে তুলে নেন ৯ উইকেট ৷ এক টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ মোট ৭ উইকেট নিয়ে পরের ডেরায় লাভ করেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার৷ 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সেই মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট হতে পারে অনুপ্রেরণা৷ সেই অনুপ্রেরণা আরেকবার ইবাদতকে করতে পারে রূপকথার মহানায়ক৷ কারন বছরের শুরুতে করে আসা কীর্তি দেশের পেসারদের মধ্যে শুধু তারই আছে৷ 

বাংলাদেশ দল একদিনের ক্রিকেটে সমীহ আদায় করতে পারলেও অনেকটাই পিছিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে৷ তবে ''কিন্তু'' বলে রয়েছে একটি কথা৷ সেই কিন্তুটি হলো নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে যে আত্মবিশ্বাস সঙ্গী হয়েছে সেটি দ্রুত নষ্ট হওয়ার কথা নয়৷ ম্যাচ জয়ের প্রাপ্তি উপভোগ করে যতটা সাহসী হয়েছে পুরো দল সেটি দ্বারা আফ্রিকাকে ঘায়েল করা খুব একটা কষ্টের হবেনা৷ 

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের সেই টেস্ট ছাড়াও বাংলাদেশের প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজ, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশ দল এখন টেস্টেও ভালো করতে মরিয়া।

বাংলাদেশের পেসাররা প্রকিপক্ষের চিন্তার কারন হয়ে ওঠেছে৷ স্পিন ঘূর্ণির পাশাপাশি অধিনায়ক চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখতে পারছে তাসকিন- ইবাদতদের উপর৷ ম্যাচ শেষে যেই নায়ক কিংবা মহানায়ক হোক সর্বাগ্রে লাভ দেশের ক্রিকেটের ৷

 

 

-নট আউট/এমআরএস/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।