ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মাঠে রঙহীন সাব্বিরের টিকটকে সরব উপস্থিতি, ট্রলের স্রোত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৭

দুবাই যাওয়ার আগে সেলফিবন্ধী সাব্বিররা। ছবি: ফেসবুক দুবাই যাওয়ার আগে সেলফিবন্ধী সাব্বিররা। ছবি: ফেসবুক

নট আউট ডেস্কঃ একজন ক্রিকেটার যত বড়ই তারকা হোক না কেন দিনশেষে তিনিও রক্তে মাংসে গড়া একজন মানুষ৷ ব্যক্তিগত জীবনে করতে পারে অনেক কিছুই৷ টিকটক থেকে ব্যবসা কিংবা জনপ্রিয়তার টানে যুক্ত হতে পারে বিজ্ঞাপন বাজারে৷ 

তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে যৌক্তিক ভাবেই হবে অন্যান্য কাজগুলোর সমালোচনা। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে অধিকমাত্রার ট্রলও পরিলক্ষিত হয় হরহামেশা। অবশ্য এই ব-দ্বীপে ক্রিকেটারদের পরিবার নিয়ে এসব সমালোচনা-ট্রল যেন রূপ নিয়েছে এক ধরনের অসুস্থ সংস্কৃতিতে।

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে রয়েছে তর্ক-বিতর্ক। তবে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইনজুরি ও ভক্তদের চাওয়াতে কোথাও দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স না করেও যে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে সাব্বির রহমানের, সেটি নিয়ে দ্বিমত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। 

ভাগ্যক্রমে যে সুযোগ এসেছে, ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক সর্বপরি ভক্তরা তাকে ঘিরে যে আশায় বুক বেঁধেছে তা যেন পরিণত হয়েছে বিলাসিতায়। কেননা মাঠের ক্রিকেটে রঙহীন সাব্বির মাঠের বাইরে ব্যস্ত টিকটক নিয়েই। সাব্বিরকে ঘিরে বর্তমানে চলমান অধিক সমালোচনার নেপথ্যে মূলত তার এই কার্যক্রম। 

শুধু সাব্বির নয়, ক্রিকেট দুনিয়ায় অনেকেই সম্পর্ক মজবুত করেছে টিকটক মাধ্যমের সাথে। বর্তমান সময়ের সেরাদের একজন ডেভিড ওয়ার্নারের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে সকলের। তার কার্যক্রমে অভিভূত হয় বাংলার মানুষেরাও। অথচ একই কাজের জন্য ট্রলের শিকার হচ্ছে ঘরের সন্তান। এটি মোটেও বৈষম্য নয়, এটি মূলত পারফরম্যান্সের ফারাকের ফল।

অধিনায়ক সাকিবের চাওয়াতেই সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছেন ৬ বলে ৫ রান। তবে তার অ্যাপ্রোচের প্রশংসা করেছিল সবাই। কারণ নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়দের মতো দৃষ্টিকটু শ্লথগতির ব্যাটিং অন্তত তিনি করেননি। স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করে আউট হয়েছেন। যেখানে আপত্তি তোলার লোক খুব কমই আছে। টি-২০ তে এমন মারকাটারি ব্যাটিংয়ের অভাবেই ভুগছে বাংলাদেশ দল।

এক ম্যাচেই এমন প্রশংসায় স্রোত দেখে যেন গা ভাসিয়ে নিজেকে হয়তো ভিন্ন পথেই নিয়ে গেলেন তিনি। দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে ফিরেছেন শূন্য রানে। বলের ভ্যারিয়েশনও বুঝে উঠতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে একাদশে তার জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে নিশ্চিতভাবে। একাদশে থাকতে পারবেন কিনা তা সময়ে বলবে। যদিও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলেও আছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তবে দিন শেষে তাকে ঘিরে শতভাগ হতাশ সমর্থকরা, তা বলাই বাহুল্য।

সাব্বিরের মতো ক্রিকেটাররা পরিণত, নিজেদের দায়িত্ব এবং দলে তাদের গুরুত্ব সম্পর্কেও সম্যক অবগত। তাদের প্রতি মানুষের চাওয়া কি, তাও অজানা নয়। 

" alt="" />

ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগানো যেমন কঠিন, তেমনি কি কঠিন বাংলার ক্রিকেটারদের সচেতন করা? প্রশ্নের উত্তর তুলে রাখা যাক পাঠকদের কাছে।

 

-নট আউট/এমজেএ/টিএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।