ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দলে নেই মাশরাফী, তবে রেকর্ডে আছেন সবার উপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২ ০১:২৩

মাশরাফীর নিত্য সঙ্গী ছিল ইনজুরি৷ ছবি সংগৃহীত মাশরাফীর নিত্য সঙ্গী ছিল ইনজুরি৷ ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই কিংস্টন স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ৷ সেই ম্যাচের পর টানা ইনজুরির কারনে পুরো ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার যখন শঙ্কার মুখে পড়েছিল তখন বাধ্য হয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে অলিখিতভাবে বিদায় জানাতে হয় আভিজাত্যের ফরম্যাটকে৷ যদিও সেই ম্যাচে তামিমের শতকের কল্যাণে বাংলাদেশের জয় ছিল ৯৭ রানে৷ তবুও এরপর আক্ষেপ বেড়েছে পেসারদের জন্য, হতাশ হয়েছে পুরো বাংলাদেশ৷

মাশরাফি টেস্ট একাদশ তো দুর স্কোয়াডে নেই এক যুগের বেশি সময় ধরে৷ এসময়ে দলে এসেছে অনেক প্রতিভাহান পেসার৷ যাদের অনেকে শুরুতেই আশা জাগিয়েছিল ভালো কিছু করার তবে পড়ন্ত বিকেলে হতাশা ছাড়া খুব বেশি দিতে পারেনি দলকে৷ তবে ব্যতিক্রমী ছিলেন শাহাদাত হোসেন৷

মাশরাফির পর বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে পেসারদের মধ্যে সেরা শাহাদাত৷ ২০০৫-২০১৫ এই দশ বছরের ক্যারিয়ারে ৩৮ টেস্টের ৬০ ইনিংসে করেছেন ৮৯৬.৪ ওভার৷ যেখানে এই দ্রুতগতি বোলারের সংগ্রহ ৭২ উইকেট৷ মাশরাফি ও শাহাদাতের বিদায়ের পর বড় ধরনের হোচট খেয়েছে টিম বাংলাদেশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তর্কের খাতিরে কেউ যুক্তি দেখতে চাইলে আলোচনা করা যেতেই পারে৷

বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় সেরা পেসার তাপশ কুমার বৈশ্য৷ যে বছর শাহাদাতের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয় সে বছর বৈষ্যের ইতি ঘটে ক্যারিয়ারের৷ এই বোলার ২১ টেস্টের ২৯ ইনিংসে ৫৬১ ওভার বল করে ঝুলিতে নিয়েছেন ৩৬ উইকেট৷

এই তিন বোলারের পর রুবেল হোসাইন নতুন স্বপ্ন দেখালেও ২০০৯-২০২০ সাল পর্যন্ত ২৭ টেস্টের ৪৪ ইনিংসে ৭০৩.৫ ওভার বল করে বৈষ্যের সমান সংখ্যক অর্থ্যাৎ ৩৬ উইকেট নিয়েছেন এই বোলার৷

বর্তমান সময়ে যে কয়েকজন দ্রুতগতির বোলার নিয়মিত আলোচনায় থাকে তাদের টেস্ট পরিসংখ্যানে এগিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান৷
২০১৫-২০২০ সাল পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে ২৭৩.২ ওভার বল করে তুলেছেন প্রতিপক্ষের ৩০ উইকেট৷

মুস্তাফিজুরের পর উইকেট সংগ্রহে যৌথ অবস্থানে রয়েছে তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন৷ এই দুই বোলার খেলেছেন ২০ ইনিংস করে৷ যেখানে তাসকিনের মত এবাদতের সংগ্রহ ২৬ উইকেট৷

সম্প্রতি টেস্ট স্কোয়াডে নিয়মিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ৷ শরিফুল ৪ ম্যাচের সংগ্রহ করেছেন ৬ উইকেট৷ অপরদিকে খালেদ আহমেদের সংগ্রহ ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট৷

দেশের টেস্ট ক্রিকেটে যতটুকু, যতটুকু অর্জন তার বেশিরভাগই স্পিনারদের কল্যাণে৷ আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটের দিকে তাকালে দেখা যাবে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসতে চাইলে প্রয়োজন পেসার ও স্পিনারদে সমান দাপট৷ তাই তাসকিন-ফিজদের নিয়ে কাজ করতে হবে আরও দৃঢ় ভাবে৷ যাতে ক্যারিয়ার শেষে তাদের নামের পাশে থাকে অসংখ্য উইকেট সাথে দলের পাশে থাকে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড৷

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।