ঢাকা | সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রিয়াদের বিষয়ে বিচলিত নয় কেউ-তামিম

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২ ২০:৩৫

মাহমুদুল্লাহ-তামিম ইকবাল। ছবিঃ ফাইল ফটো। মাহমুদুল্লাহ-তামিম ইকবাল। ছবিঃ ফাইল ফটো।

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৷ দলের প্রয়োজনে পুরো ক্যারিয়ারে ব্যাটিং করেছে শেষের দিকে৷ কখনো উইকেট হারানো দলটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া আবার কখনো রান খড়ায় ডুবতে থাকা পরিস্থিতি সামলিয়ে নেওয়া ৷

সাকিব, তামিম, রিয়াদ আউট হলেও তখনো দর্শকদের মধ্যে বিশ্বাস থাকে আছে একজন সাইলেন্ট কিলার৷ পঞ্চপান্ডবের একজন হলেও স্বাভাবিক ভাবে রিয়াদেরও রয়েছে ভালো-খারাপ সময়৷ গত বছর জিম্বাবুয়ে সফরের ওয়ানডে সিরিজ থেকে রিয়াদ যেন নিজেকে হারিয়ে খোঁজা একজন। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ঠিক পথে আছে বলে মনে করেন না অনেকেই। তবে এসব নিয়ে দলপতি মিস্টার খাঁন মোটেও চিন্তিন নন৷

কাপ্তানের আস্থার পুরোটা জুড়ে আছেন জাতীয় দলে দীর্ঘদিনের সঙ্গী এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ২০২১ সালের মে মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চওড়া হয়েছিল রিয়াদের ব্যাট৷ সিরিজে প্রায় ৫০ গড়ে তিন ম্যাচে রান করেছেন ১৪৮। কিন্তু এরপর থেকেই কিছুটা ছন্দছাড়া রিয়াদ৷ গত আগষ্টে জিম্বাবুয়ের মাটিতেও হাসেনি রিয়াদের ব্যাট৷ তিন ম্যাচে গড় ছিল ২০ এর নিচে৷ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের কারনে দীর্ঘসময় খেলা হয়নি একদিনের ক্রিকেট৷

লম্বা বিরতির পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টিম টাইগার ফিরে রঙ্গিন পোষাকের একদিনের ক্রিকেটে৷ নিজেদের মাঠে কিছুটা কষ্ট করে সিরিজ জিতলেও রিয়াদ সেখানেও ছিলেন মলিন যেখানে ৩ ম্যাচে তার রান ৪৩। তবে দুই ম্যাচ ছিলেন অপরাজিত৷

ভালো করলে প্রশংসা হবে, খারাপ করলে সমালোচনা৷ ধারাবাহিক ব্যর্থতার ফলে আফগানিস্তান সিরিজের পর রিয়াদের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ক্রিকেটপাড়ায়৷ তবে দীর্ঘ সময় রিয়াদ যা করেছে তার অবদান ভুলতে নারাজ দায়িত্বে থাকা মানুষগুলো৷ দক্ষিন আফ্রিকায় প্রথমবারের মত তাদরে বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ৷ ব্যাটারদের কল্যাণে তিন শতাধিক রানে রিয়াদের অবদান ১৭ বলে ২৫ রানের কার্যকরী ইনিংস। সেঞ্চুরিয়নে ঐতিহাসিক ম্যাচ জয়ে তাই তার অবদানও টুকে রাখা উচিৎ।

তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করলেও অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মত প্রতিপক্ষকে বোলারকে উইকেট দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার৷ সিরিজ জয়ের মিশনে টসে জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারায় ৩৪ রানে৷ অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা থাকলেও সেখান থেকে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ আসে আফিফ-মিরাজের রসায়ণ জুটিতে৷ তবে আফিফের সাথে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিয়াদ যোগ করেন ৬০ রান, নিজে আউট হন ৪৪ বলে ২৫ রান করে।

ম্যাচ হারার পর আবারও রিয়াদের জায়গা নিয়ে নেতা তামিমকে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি ৷ সাংবাদিকদের ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নে তামিম বলেন- রিয়াদ ভাই আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন। আমি কিংবা দল কোনভাবেই রিয়াদকে একাদশের বাইরে রাখার কথা ভাবছি না। ওনি যে কোন সময় ঘুঁড়ে দাঁড়িয়ে দলকে জেতানোর ক্ষমতা রাখে ৷ তাই ওনার এসব বিষয় নিয়ে আমরা কেউই ভাবছিনা কিছু৷ ওনার অফ ফর্ম নিয়ে দলের মধ্যে একজনেও বিচলিত না সকলে ওনার প্রতি বিশ্বাস রেখেই ওনাকে নিয়েই সামনের দিনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছি ৷

আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নতুন ইতিহাস রচনার স্বপ্ন দেখেন তামিম৷ বিশ্বমঞ্চে এমন কিছু করতে চান যাতে করে প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম মনে রাখে এই দলের সদস্যদের৷

 

- নট আউট/টিএ/ডব্লিউআর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

প্রথম ওয়ানডেতে হোঁচট খেল বিসিবি একাদশ

ভারতের এমএ চিরাম্বরম স্টেডিয়ামে সোমবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল তামিলনাড়ু ক্রিক...

ভারত সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ে সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।

জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ

৭৪ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের টার্গেটেই কঠিন বানিয়ে ফেলে ভারত।