ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আইপিএলে অ্যাবিউজের পরেও খেলার ইচ্ছা ছিলঃ শোয়েব

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৫

সৌরভ, শোয়েব, শচীন। ফাইল ছবি সৌরভ, শোয়েব, শচীন। ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম গতিদানব পাকিস্তানের শোয়েব আক্তার৷ রাজনীতি ইস্যুতে আইপিএলে বর্তমান সময়ে পাকিস্তানি খেলোয়াড় নিষিদ্ধ থাকলেও প্রথম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলেছিলেন এই ফাস্ট বোলার৷ 

আইপিএল প্রসঙ্গে শুক্রবার বিষ্ফোরক মন্তব্য করে শোয়েব জানান সেবার মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অ্যাবিউজের শিকার হয়েছিলেন।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০০৮ সালের সেদিন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল কলাকাতা নাইট রাইডার্স। আগে ব্যাট করে কলকাতা মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৬৮ রানের টার্গেটে মুম্বাইর হয়ে ব্যাট করতে নামেন ঘরের ছেলে শচীন টেন্ডুলকার ও সনাথ জয়সুরিয়া।

সেইদিনের স্মৃতিচারণ করে শোয়েব আখতার বলেন, ‘দারুণ একটি মাঠ ছিল। পরিবেশটাও দারুণ ছিল। স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না— এতো দর্শক ছিল। কিন্তু আমি শুরুতেই মারাত্মক একটা ভুল করে বসি। প্রথম ওভারেই আউট করে ফেলি শচীন টেন্ডুলকারকে। এরপর ফাইন লেগে ফিল্ডিং করার সময় আমাকে প্রচুর গালি শুনতে হয়। তখন সৌরভ গাঙ্গুলি আমাকে বলেন— মিড উইকেটে যাও। এই দর্শকরা তোমাকে মেরে ফেলবে। তোমাকে কে বলেছে শচীনকে আউট করতে? তাও আবার মুম্বাইতে!’

অবশ্য শচীন আউট হলেও জয়সুরিয়া ১৭ বলে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে জেতান। ওইদিনের ঘটনার পরও শোয়েব আখতার মুম্বাইতে আরও ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলেন। কারণ, সেই দর্শকরাই, ‘অবশ্য এরপর আরও অনেকবার মুম্বাইতে আমার যাওয়া হয়েছে। সেখানকার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি। তবে আমি খুশি ছিলাম এ জন্য যে সেদিন কেউ আমার দেশকে গালি দেয়নি। কেউ কোনো বর্ণবাদী মন্তব্য করেনি। ওয়াংখেড়ের সেদিনের দর্শকরা বেশ উত্তেজিত ছিল। আমি যদি সেখানে আরও ম্যাচ খেলতে পারতাম, ভালো লাগতো।'

 

-নট আউট/এমআরএস/টিএ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

লিটনের পর সাকিবের ঠিকানা কলকাতায়

লিটন দাসের পর দ্বিতীয় ধাপে দল পেলেন টাইগার তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ভিত্তিমূল...

আইপিএলে দল পেলেন লিটন দাস

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দল পেলেন টাইগার তারকা ব্যাটার লিটন দাস। প্রথম দফায় অ...

আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশের ‘৪’

দেশী-বিদেশী সর্বমোট ৯৯১ জন ক্রিকেটার করেছিলেন নিবন্ধন। যার মধ্যে ছিল ৬ বাংলাদেশী ক্রি...