এভাবেও হারা সম্ভব? পাল্লাকেলেতে সেটাই করে দেখাল শ্রীলঙ্কা
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১১:১১

নট আউট ডেস্কঃ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতা ভারত নেমেছিল অনেকটা নিয়মরক্ষার ম্যাচে। অন্য দিকে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর। এমন ম্যাচে দাপটটাও দেখায় স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ দিকে এসেই যেন খেই হারায় লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। তাতেই অনায়াসে পাওয়া জয়ের দিনে উল্টো সুপার ওভারেই হেরে বসে শ্রীলঙ্কা। ফলে, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল ভারত।
পাল্লাকেলেতে এদিন ১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস লঙ্কানদের এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। দু'জন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। ৫ চারে ২৬ রান করে ফিরেন নিশাঙ্কা। এরপর কুশল পেরারাকে নিয়ে দলকে কক্ষপথে রাখেন কুশল মেন্ডিস। এই দু'জনের ব্যাটে একপর্যায়ে জয়টা সহজই মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার।
দ্বিতীয় উইকেটেও এই দু'জন মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। তাতেই দলীয় একশ পার করে শ্রীলঙ্কা। ৩ চারে কুশল মেন্ডিস ফিরেন ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে। মেন্ডিসের বিদায়ের পরই যেন হুশ ফিরে ভারতীয় বোলারদের। ওয়াশিংটন সুন্দর এসে এক ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ফেরান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চারিত্র আসালাঙ্কাকে।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৯ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন অখ্যাত রিঙ্কু সিং। তাতেই যেন বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরান ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা কুশল পেরারাকে। ওভারের শেষ বলে ফেরান রমেশ মেন্ডিসকে। ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলতে রিঙ্কু খরচ করেন মোটে ৩ রান।
চমকের বাকি অবশ্য ছিল তখনও। ৬ রানের সমীকরণে ইনিংসের ২০তম ওভার করতে আসেন খোদ ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার নিজেই। এসেই পরপর দুই বলে ফেরান কামিন্দু মেন্ডিস ও মহেশ থিকসানাকে। তাতেই সহজ ম্যাচটাই হারতে বসে শ্রীলঙ্কা। এরপর অবশ্য শেষ তিন বলে ৫ রান তুলে সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে ওয়াশিংটন সুন্দরের তোপে ২ রানেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ফলে, ৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে নাটকীয় জয় উপহার দেন সূর্যকুমার যাদব।
-নট আউট/টিএ
বাবরের বিশ্বরেকর্ড, রান পাহাড়ে চড়ল পাকিস্তান
আগা সালমানকে নিয়ে দিনের বাকিটা শেষ করেন বাবর আজম।

হৃদয় জিতলেন সরফরাজ, ‘ড্র’ হলো করাচি টেস্ট
জিততে হলে শেষ ১১ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ৪ উইকেট।

‘তিন’ সেঞ্চুরিতে পাল্টা জবাব পাকিস্তানের
১১৪ রানে শফিক ফিরলে ভাঙে ইমামের সঙ্গে ২২৫ রানের জুটি৷

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: