ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চার বিশ্বকাপ,বোলার সাকিবের ডট বল প্রায় ৪৮ শতাংশ

মশিউর রহমান শাওন
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩ ০০:৩৬

ছবি সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত

মশিউর রহমান শাওনঃ ১৯৯৯ থেকে ২০১৯! এই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৬ আসর। ৬টিতেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ জার্সিতে সাকিব খেলেছেন ৪টিতে। লাল-সবুজ জার্সিকে বৈশ্বিক আসরে প্রতিনিধিত্ব করেছে ৫৫ জন। আর বল করেছেন ৩১ জন। সবার চেয়ে ব্যাট ও বল উভয় বিভাগেই সর্বোচ্চ সফলতা পেয়েছেন মিস্টার সেভেনটি ফাইভ।


২০০৭ বিশ্বকাপ! আসরজুড়ে সাকিব করেছেন ৩৬৫ বল। আগের বছর জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া তরুণ ছেলেটি পুরো আসরে ডট দিলেন ৪৫.৭৫ শতাংশ বল। অর্থাৎ ৩৬৫ বলের মধ্যে রানশূন্য বল ১৬৭টি। বাকি ১৯৮ বা ৫৪.২৫ শতাংশ বলে দিয়েছেন ৩০২ রান। মাহেলা জয়াবর্ধনের উইকেট দিয়ে শুরু, আসর যখন শেষ করলেন নামের পাশে তখন উইকেট সংখ্যা ‘৭’।


এ আসরে ৩০২ রানের মাত্র ২৯.০৮ শতাংশ রান বাউন্ডারিতে খরচ করেছেন সাকিব। যেখানে ছিল ৬ চার (৭.৯৫%) ও ১১ ছয় (২১.৮৫%)। সাকিবের বিপক্ষে স্ট্রাইক রোটেট করেই ব্যাটাররা তুলেছে ৬৯.৫৩ শতাংশ রান। যেখানে সিংগেল ১৫৩টি (৫০.৬৬%), ২৭টি ডাবল (১৭.৮৮%) ও ছিল এক ত্রিপল (০.৯৯%)।


২০১১ বিশ্বকাপ! ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন অধিনায়ক। বল হাতে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। আর আসরটিতে দিয়েছিলেন ৪৮.৯২ শতাংশ ডট বল। অর্থাৎ ২৭৮ বলের মধ্যে ১৩৬টিতে ছিলেন রানশূন্য। বাকি ১৪২ বা ৫১.০৮ শতাংশ বলে খরচ করেছেন ২২৩ রান।


সাকিবের বিপক্ষে ২২৩ রানের ৬৪.১৩ শতাংশ রান প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা নিয়েছে স্ট্রাইক রোটেট করে। যেখানে ছিল ১০৬ সিংগেল (৪৭.৫৩%), ১৭ ডাবল (১৫.২৫%) ও এক ত্রিপল (১.৩৫%)। সাকিবের এই মোট রানের ৩৪.০৮ শতাংশ খরচ হয়েছে বাউন্ডারিতে। ১৮ বাউন্ডারির মধ্যে চার ছিল ১৬টি (২৮.৭০%) ও ছয় দুইটি (৫.৩৮%)।


২০১৫ বিশ্বকাপ! বিশ্বকাপের এই আসর পুরো বাংলাদেশের জন্যই সুখের। সাকিবও নিয়েছেন ৮টি উইকেট। আর আসরে সাকিব রানশূন্য বল করেছিলেন ১৭৫টি। যা মোট বলের ৫০.৫৮ শতাংশ। ৩৪৬ বলের মধ্যে সাকিব রান দিয়েছেন ১৭১টিতে। শতকরা হিসেবে যা ৪৯.৪২%।


আগের দুই আসরের তুলনায় এই আসরে বল হাতে চাপে ছিলেন সাকিব। আসরজুড়ে দেওয়া মোট রানের ৪৩.৬২ শতাংশই প্রতিপক্ষ তুলেছিল বাউন্ডারি থেকে। যেখানে ছিল ১৯ চার (২৫.৫০%) আর ৯ টি ছয় (১৮.১২%)।


‘১৫’ বিশ্বকাপে সাকিবের বিপক্ষে করা রানের ৫৬.০৪ শতাংশ ছিল স্ট্রাইক রোটেট পদ্ধতিতে। ১২২ সিংগেল (৪০.৯৪ শতাংশ), ১৮ ডাবল (১২.০৮%) আর সাথে ছিল তিনটি ত্রিপল (৩.০২%)।


২০১৯ বিশ্বকাপ! এই বিশ্বকাপ কল্পনার চাইতেও সুন্দর কাটিয়েছেন সম্ভবত সাকিব। আসরে নিয়েছেন ১১ উইকেট। বল করেছেন ৪৫০টি। ডট দিয়েছেন ৪৬.৬৭ শতাংশ বা ২১০ বল। বাকি ২৪০ বল বা শতকরা হিসেবে ৫৩.৩৩% বলে খরচ করেছেন ৩৯৯ রান।


প্রায় চারশতাধিক রান সাকিব খরচ করলেও বাউন্ডারিতে দিয়েছেন মাত্র ৩৮.৩৯ শতাংশ রান। যেখানে ২৫ চারের (২৫.০৬%) পাশাপাশি ছয় ছিল ৯টি (১৩.৫৩%)। এই আসরে স্ট্রাইক রোটেটকৃত রান ছিল ৫৮.১১ শতাংশ । যেখানে সিংগেল ১৮১টি (৪৫.৩৬ শতাংশ), ডাবল ২০টি (১০.০২%) ও ত্রিপল ছিল পাঁচটি (৩.৭৬ %)।


সাকিব এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৪ উইকেট। এসময় তিনি ডট দিয়েছেন ৪৭.৫৯ শতাংশ বল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯ রানে ৫ উইকেট সেরা বোলিং ফিগার। চলতি বছরের বিশ্বকাপেও দাপট থাকুক সাকিবের। পূরণ হোক বিশ্বজয়ের স্বপ্ন।

 

-নট আউট/এমআরএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর

তিন পান্ডবের পাঁচ সেঞ্চুরি, ইমপ্যাক্টে এগিয়ে.....

বিশ্বকাপে ২৯ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১১৪৬৷ ২৯ ম্যাচে মুশফিকের ৮৭৭ রান৷ এই রান নিয়ে রয়ে...

৬, ৬, ৬, ৬, ৬—‘রিংকু সিং’ হ্যাভ ডান ইট!

শেষ ওভারে এমন খুনে ব্যাটিং এর আগে কেউ দেখেনি বোধহয়।

তাকে সময় দিন, যেন সে হারিয়ে না যায়

‘২০১৬ সালে রিজওয়ানের সাথে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছিলাম। সেসময়ে যেহেতু তার বয়স কম ছিল, দু...