অ্যাডিলেড থেকে জহুর আহমেদ, ফের হলো ‘ইংলিশ’ বধ

আসসালামু আলাইকুম

নট আউট ডেস্কঃ ৯ মার্চ দিনটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে অনেকটা ওতোপ্রোতোভাবেই যেন জড়িয়ে আছে। ২০১৫ সালের এই দিনেই, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। তার ঠিক ৯ বছর পরও, এই ৯ মার্চে আরও একবার ইংলিশ বধ করল টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক কোন টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই জয় পেল সাকিব আল হাসানের দল।

চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৬ উইকেট ১৫৬ রান সংগ্রহ করে সফরকারী। লক্ষ্য তাড়ায় নাজমুল শান্ত'র ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হাতে রেখেই দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। 

১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লে'র প্রথম ছ' ওভারে দুই ওপেনারকে হারালেও বাংলাদেশ পেরোয় পঞ্চাশের গণ্ডি। দীর্ঘ ৮ বছর পর দলে ফিরে ওপেনিং ব্যাট করে রনি তালুকদার করেন ১৪ বলে ২১ রান। আরেক ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।

তৃতীয় উইকেট দলের হাল ধরেন ফর্মে থাকা নাজমুল শান্ত ও অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের সেরা এই জুটি এবার লাল-সবুজ জার্সিতেও প্রথমবারেই হয়েছেন সফল। এই দু'জন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে, দলের জয়ের ভিতটা দেন গড়ে।

এই জুটিতে ভর করেই দলীয় একশ পার করে বাংলাদেশ। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান করা অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর হাফ সেঞ্চুরি (৩০ বলে ৫১ রান) তুলে সাজঘরে ফিরেন নাজমুল শান্তও। পরপর দুই ওভারে এই দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। 

পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। এই জুটিতে ভর করেই, শেষ পর্যন্ত ২ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই সাথে ইতিহাসে প্রথমবার ইংলিশদের টি-টোয়েন্টিতে হারানোর স্বাদটাও দেয় সাকিবরা

চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। পাওয়ারপ্লে'র মধ্যেই সফরকারীরা পার করে দলীয় পঞ্চাশ রানের গণ্ডি৷ এর মাঝে নাসুম আহমেদের এক ওভারেই জীবন পেয়ে যান ফিল সল্ট ও জস বাটলার। দলীয় ৮০ রানের মাথায় সল্টের বিদায়ে ভাঙে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি।

৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৮ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান নাসুম আহমেদ। এক ওভার বাদে বোলিংয়ে এসে ডেভিড মালানকে তুলে নেন সাকিব। এরপর জীবন পাওয়া বাটলার রীতিমতো ঝড় তোলেন। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। বেন ডাকেটের সঙ্গে জুটি গড়ে ইংলিশদের দেখান বড় সংগ্রহের স্বপ্ন।

৩ চারে ২০ রান করা ডাকেটকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠা বাটলার কাটা পড়েন হাসান মাহমুদের বলে। ফেরার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান (৪টি করে চার ও ছক্কা) খেলেন তিনি। বাটলারের বিদায়ের পর ইংলিশদের রানের লাগাম টেনে ধরে টাইগার পেসাররা।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ নেন ২টি উইকেট। 

-নট আউট/টিএ